Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিরপুরের পিচ ‘ভালো’!

শান্তদের সম্বল বিপিএল অভিজ্ঞতা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

টি-টোয়েন্টিতে এই সময়ে পাকিস্তান দল আছে উড়ন্ত ছন্দে। অল্পের জন্য এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে যেতে না পারলেও বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের শক্তি প্রমাণিত। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বেশ অনভিজ্ঞ দল নিয়ে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করছেন, বাবর আজমদের বিপক্ষে বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আত্মবিশ্বাস মিলবে তাদের।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ নিয়মিতই খেলতেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। বর্তমান দলেরও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে খেলে গেছেন বিপিএলে। অধিনায়ক বাবর, শোয়েব মালিক, শাদাব খান, আসিফ আলি, হাসান আলি, মোহাম্মদ নাওয়াজরা খেলেছেন বিপিএলে। এদের অনেকের সঙ্গে তাই খেলা হয়েছে শান্তদের। প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের তাই খুব চেনা তাদের। পাকিস্তান সেরা ছন্দে থাকলেও এই অভিজ্ঞতা থেকেই সাহস খুঁজছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, ‘বিশ্ব ক্রিকেট চিন্তা করলে পাকিস্তান সেরা দলগুলোর একটি। বিপিএলে ওদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। ওই দিক থেকে আমরা একটু আত্মবিশ্বাসী যে ওই বোলারদের মোকাবেলা করেছি, বা ওই ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করেছি। এই সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনজন। শান্তর আছে মাত্র তিন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। বাস্তবতা বুঝে তাই প্রত্যাশার মাত্রা ঠিক করতে চান তারা, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে প্রত্যেকটা দলই ভাল। চিন্তা করলে হবে না যে অনেক ভাল কিছু করব, আমরা কেবল বল দেখব, খেলব। অতো বেশি চিন্তার কিছু নেই আমরা যেটা পারি ওই জিনিসটা করব।’ খেলা হবে মিরপুরে। যেই হোম আব ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সবশেষ দুটি আন্তর্জাতিক সিরিজে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইকেট তো ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল রীতিমতো ভয়ঙ্কর। তবে হায়দার আলির অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। পাকিস্তানের তরুণ এই ব্যাটসম্যানের চোখে মিরপুরের উইকেট বেশ ভালো।
জাতীয় দলের হয়ে এখনও দেশের বাইরে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি হায়দারের। তবে বাংলাদেশে খেলে গেছেন তিনি ২০১৯ সালে এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপে। এবার জাতীয় দলের হয়ে এসে তার মনে পড়ছে সেই সময়ের অভিজ্ঞতা। গতকাল পিসিবির ইউটিউব চ্যানেলে সতীর্থ উসমান কাদিরের সঙ্গে আলাপচারিতায় হায়দার ফিরে গেলেন ওই টুর্নামেন্টে, ‘আমি আগেও একবার এসেছি এখানে, ইমার্জিং এশিয়া কাপে। এই মাঠেই ফাইনাল জিতেছি। এবার জাতীয় দলের সঙ্গে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। বেশ ভালো মাঠ এটি, উইকেটগুলো বেশ ভালো। সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি এখন।’
হায়দারের কাছে মিরপুরের উইকেট ভালো মনে হওয়ার কারণ আছে বৈকি। ওই ইমাজিং কাপে গ্রæপ পর্বের ম্যাচগুলি কক্সবাজারে খেলার পর সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল মিরপুরে খেলে পাকিস্তান। সেমি-ফাইনালে ভারতকে হারায় তারা ২৬৫ রান তাড়া করে। ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে তোলে ৩০১ রান। ওই ম্যাচে উইকেট ব্যাটিং সহায়কই ছিল। হায়দারের তুলনায় বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা একটু বেশি মোহাম্মদ নওয়াজের। জাতীয় দলের হয়ে তো বটেই, বিপিএলেও খেলেছেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। তার অভিজ্ঞতা বরং মিরপুরের এখনকার বাস্তবতার কাছাকাছি, ‘এখানে অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। অভিষেক সিরিজে এশিয়া কাপে (২০১৬) দুটি ম্যাচ খেলেছি। এরপর বিপিএলেও বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। স্পিনারদের জন্য বেশ সহায়ক কন্ডিশন এখানে, উইকেট একটু ধীরগতির থাকে। তবে আমাদের জন্য মানানসই। আমরা এরকম কন্ডিশনে অভ্যস্তই।’ ১৯ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। পরদিন একই সময়ে দ্বিতীয় ম্যাচ। ২২ নভেম্বর হবে শেষ ম্যাচ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ