নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ম্যাচের রেস কাটছে না। বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট প্রেমিরা সেই ম্যাচে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার আসিফ আলির খেলা নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মাত্র ৬১১ বল খেলেছেন আসিফ আলী। এর মধ্যে ৪৭ বার ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ পাকিস্তানি ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৫ ইনিংসে ব্যাট করা আসিফের ৪-এর চেয়ে ছক্কা বেশি।
শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২ বলে ২৪ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। আফগান পেসার করিম জানাতের ৬ বলের মধ্যে ৪ ছক্কায় সব হিসাব মিটিয়ে দেন আসিফ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতেছিল। এ কারণে সে ম্যাচে আর নামা হয়নি আসিফের। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা জটিল করে তুলেছিলেন পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। কিন্তু আসিফ নেমেই ম্যাচটা পাকিস্তানের মুঠোয় এনে দেন।
সেদিন দলের ১৩৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১২ বলে ২৭ রান করেন আসিফ। ৩টি ছক্কার সঙ্গে হাঁকান একটি চারও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৭ বল খেলে ৪টি ছক্কা হাঁকান আসিফ আলী। চলতি বিশ্বকাপে মাত্র ১৯ বল খেলেই ৭ ছক্কা আসিফের। মানে একেকটি ছক্কা মারতে ৩ বলও লাগছে না তার। আসরে কমপক্ষে তিনটি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইসের ৭ ছক্কা এসেছে ৪৯ বলে। আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজের প্রতি ছক্কার জন্য ৯ বলের কম লাগছে। ৪৪ বল খেলে ৫ ছক্কা গুরবাজের। চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আট ছক্কা নামিবিয়ার ডেভিড ভিসার। ভিসা খেলেছেন ৭৫ বল। ছক্কার মারার গতিতে শীর্ষ পাঁচের শেষের স্থানটি নিকোলাস পুরানের। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে মাত্র ৩৮ বল খেলেছেন। আর তাতে মেরেছেন চারটি ছক্কা। এদিক থেকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা অনেক পিছিয়ে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মাহমুদুল্লাহর। ৬ ম্যাচ খেলে ৬টি ছক্কা মেরেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ৬ ইনিংসে ১১৩ বল খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। মুশফিকুর রহীমের চার ছক্কা এসেছে ১২২ বলে।
আর তিনে থাকা সাকিবের তিন ছক্কার প্রতিটির জন্য ৪০ বল করে খেলতে হয়েছে। অবশ্য চোটের জন্য ছিটকে পড়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম দুজনই বিশ্বকাপে দুটি ছক্কা মেরেছেন। আর দুজনই খেলেছেন মাত্র ৯ বল। অর্থাৎ ছক্কাপ্রতি মাত্র ৪.৫ বল খেলেছেন দুজন। ওদিকে বিশ্বকাপে ১০৪ বল খেলে মাত্র একটি ছক্কা মেরেছেন লিটন কুমার দাস। কমপক্ষে ১০০ বল খেলেও লিটনের চেয়ে বাজে ছক্কা মারার রেকর্ড বিশ্বকাপে একজনেরই। তিন ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্সওয়েল ও’ডাউড ১০৬ বলে ছক্কা মেরেছেন একটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।