নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সময়টা ছিল ২০১১ সাল। আয়ারল্যান্ডের শেন গেটকাটে ওয়েরেচেস্টায়ারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে চেসায়ারের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলছিলেন। সেই ম্যাচটিতেই ঘটে যায় তার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। মাঠের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত ডাকা হয় প্যারামেডিকসদের। হেলিকপ্টারে করে আসেন তারা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে দুই দিনের জন্য কোমায় চলে যান তিনি। কোমা থেকে ফিরে ভেঙে পরেননি। নিজের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও বাদ দিয়ে দেননি। সব কিছু ছাপিয়ে মনে রেখেছিলেন তীব্র সাহস ও সঙ্গে ছিল কঠোর মনোবল।
আগে থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল শেন গেটকাটের। কিন্তু বিষয়টি যে এত মারাত্বক হয়ে যাবে, এটি কোনদিন ভাবতে পারেননি তিনি।
'আমার হার্টের সমস্যা ছিল। কিন্তু এটা যে এত মারাত্বক, ওইদিনের আগে তা বুঝতে পারিনি। বছরে এক বার বা দুইবার আমার হার্টের স্পন্দন বেড়ে যেত। আমি গলায় বরফ দিতাম ৩০ মিনিটের মত, সব ঠিক হয়ে যেত।'
'ওই দিনটা প্রচন্ড গরম ছিল। আমি আমার বোলিং স্পেল শেষ করে কোচের সঙ্গে বসলাম। কিন্তু শরীরটা ভালো লাগছিল না। ফলে বরফ দিয়ে নিজেকে ঠিক করার চেস্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই আমি পরে যাই।'
'সেখানে উপস্থিত থাকা একজন খেলোয়াড়ের মা আমাকে সিপিআর দেয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে আসে প্যারামেডিকসের দল। তারা আমার উপর ডেফিবিরেলেটর প্রয়োগ করে। এরপর দুই দিন আমি কোমায় ছিলাম।'
এত বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার নাকি ডাক্তাররা ৯৯ ভাগ নিশ্চিত ছিলেন শেন গেটকাটে আর কখনো ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। এমনকি তার জীবন নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন তারা। কিন্তু ডাক্তারদের সে চিন্তা ভুল প্রমাণ করে শেন পরবর্তীতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। আর এবার আরব আমিরাতে গেছেন জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে। যদিও এখনো বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলা হয়নি তার। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।