Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তান আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মহড়া

সিলেট-কক্সবাজারে হবে জাতীয় লিগ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত বছর শুরুর পর মাঝপথে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ। পরে ওই মৌসুমের খেলা আর চলানো যায়নি। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ফিরছে দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। তবে করোনার প্রকোপ মাথায় রেখে খেলা হবে কেবল সিলেট ও কক্সবাজারে। গতকাল মিরপুরে জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানান, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকলেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে জাতীয় লিগ আয়োজন করতে পারছেন না তারা, ‘আমরা চাই যেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলতে পারি। সবাই সবার বিভাগে গিয়ে খেলুক। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে কিন্তু আইপিএলের মতো অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা সবাই জানি, কোভিডের সঙ্গে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। ভ্রমণটা একটু ঝুঁকিপ‚র্ণ। এখন পর্যন্ত যতদ‚র জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার, আরেকটা সিলেটে।’

জাতীয় লিগ হয় টায়ার-১, টায়ার-২ দুই গ্রæপে। সিলেটে খেলবে এক গ্রæপ, কক্সবাজারে আরেক গ্রæপ। কোন দলেরই তাই অতিরিক্ত ভ্রমণের বিষয় থাকবে না। জাতীয় লিগ এবার প্রতিদ্বন্দিতাপ‚র্ণ করতে বেশ আগেভাগেই স্কোয়াড করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। ২০-২২ জনের স্কোয়াড নিয়ে দলগুলো চালাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং। হাবিবুল জানান ১৬ জনের বিভাগীয় স্কোয়াড দেওয়া হবে শিগগিরই, ‘ফিটনেস পরীক্ষার পর আমরা ১৬ জনের দল করে হবে। সবসময় আমরা ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনার জন্য দুইজনের বেশি দিচ্ছি। এরপর ওরা টুর্নামেন্টে চলে যাবে। তাদের স্কিল ট্রেনিং পাঁচ তারিখে শুরু হয়ে যাবে। সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন প্রস্তুতির জন্য। যেহেতু উইকেটগুলোও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে কিছু দিনে। আশা করছি এবারের এনসিএল খুব প্রতিযোগিতাম‚লক হবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসর শুরু করবে মুমিনুল হকরা। আগামী বছর দেশের বাইরেও আছেন কঠিন কিছু টেস্ট সফর। হাবিবুল মনে করেন দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে তাই জাতীয় লিগ দেবে বড় সুযোগ, ‘বিশ্বকাপের পরপরই আমাদের কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা কিন্তু খেলোয়াড়দের তৈরি করার জন্যে ভালো একটি সুযোগ। আমরা খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। অনুশীলন ম্যাচ আর প্রতিযোগিতাম‚লক ম্যাচের মধ্যে তো পার্থক্য অবশ্যই আছে। পাকিস্তান সিরিজের আগের জাতীয় লিগের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে বলে মনে করি।’

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম‚ল মাঠের সঙ্গে এবার ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হচ্ছে নব নির্মিত সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২। পাশাপাশি দুই মাঠে হবে দুই ম্যাচ। একইভাবে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই গ্রাউন্ডে হবে আরও দুই ম্যাচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট আপাতত তাকিয়ে আগামী মাসের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে বিশ্বকাপের পরপরই তো অপেক্ষায় আরেকটি বিশ্ব আসর! পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পথচলা শুরু করবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল আগামী ১৪ নভেম্বর। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৯ নভেম্বর, টেস্ট সিরিজ শুরু ২৬ নভেম্বর।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ, একটি ড্র থেকে পাওয়া ২০ পয়েন্ট ছিল প্রাপ্তি। গোটা চক্রে একমাত্র জয়বিহীন দল ছিল বাংলাদেশই। এবার প্রস্তুতির সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে চায় বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ