নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান যদি তাদের চিরাচরিত জাতীয় পতাকা ব্যবহার না করে তাহলে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে খেলতে দেয়া হবে না। খবর শোনা যাচ্ছে তালেবান চাইছে রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বিশ্বকাপে তাদের সাদা পতাকা মাথায় নিয়ে খেলুক।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে পুরাতনদের সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান, নতুন সিইইউ নিয়োগ দিয়েছে তালেবান সরকার। এর মাধ্যমে ক্রিকেটের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে তারা। আবার তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে দেবে না। সবকিছু মিলিয়ে এখন আফগান ক্রিকেট নিয়ে কিছুটা বিব্রত আইসিসি। বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কথাও তুলেছে। শোনা যাচ্ছে এখন আফগানিস্তান বিষয়ে অন্যদের নিয়ে আলোচনায় বসবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখানে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাবও উঠবে।
আইসিসির ওই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবে ১৭টি সদস্য দেশ। আর এ ১৭টি দেশের মধ্যে ১২টি দেশ যদি বিপক্ষে যায় তাহলে নিষিদ্ধ হবে আফগান ক্রিকেট। এখন প্রশ্ন হলো ১২টি দেশ কি আফগানিস্তানের বিপক্ষে যাবে? বিশেষ করে ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত?।
আইসিসিতে ভারতের প্রভাব অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের যে কোন সিদ্ধান্তে প্রভাব পরবে অনেক বেশি।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ভারত আফগানিস্তানের বিপক্ষে যাবে না। তালেবানের ক্ষমতা নেয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারত অখুশি। কিন্তু তারা আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিপক্ষে কিছু বলেনি। যেখানে অস্ট্রেলিয়া খোলাখুলিভাবে সমালোচনা করেছে।
তাছাড়া আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নয়নের পেছনে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। তারা আফগানিস্তানের কাবুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরিতে সহায়তা করেছে। নিজ দেশের স্টেডিয়ামকে আফগানদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়েছে। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর তাছাড়া ভারত চায় দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেটের উন্মাদনা আরো বৃদ্ধি পাক। আর আফগানিস্তানে ক্রিকেটের উন্মাদনা নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। এর সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থও জড়িত আছে। কারণ ক্রিকেট ভারতের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখে।
ভারত দলের বিপক্ষে ২০২২ সালে আফগানিস্তানের একটি টেস্ট সিরিজ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ বাতিল করার কথা বললেও ভারত একটি শব্দও করেনি। মানে এ সিরিজটি মাঠে গড়াক তারা চায়।
আবার ভারতের জমজমাট ঘরোয়া প্রতিযোগিতা আইপিএলেও আফগান ক্রিকেটারদের রেখেছে তারা। ভারত ইচ্ছে করলে বলতে পারত কোন আফগানকে নিজেদের লিগে খেলতে দিবে না।
আইসিসি যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোন কিছু করতে চায় তাহলে ১২টি দেশের সমর্থনও তারা হয়ত পাবে না। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বলা যায় নিশ্চিতভাবেই থাকবে আফগানিস্তানের পক্ষে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কথা বললে বলা যায়, আফগানিস্তানের ক্রিকেটে কে কি করছে তা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই বাংলাদেশের। এমনকি রাজনৈতিক দিক দিয়েও বাংলাদেশ আফগানিস্তান নিয়ে এতটা ভাবে না।
ক্রিকেটের তিন পরাশক্তির মধ্যে ইংল্যান্ডও আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ক্ষতি হোক চায় না। তাদের নিয়ে শুধু মাতামাতি করছে অস্ট্রেলিয়াই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।