গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মতিঝিলে একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে হৃদয়ের সঙ্গে ফাহিম নামের আরেক যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে ফাহিম কেঁচি দিয়ে হৃদয়ের বুকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় টহল পুলিশ হৃদয়কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ড ঘটনায় দুদিনেই রহস্য উদঘাটনসহ মূল অভিযুক্ত ফাহিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সকাল ৮টায় মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মতিঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে টহল পুলিশ পথচারীর মাধ্যমে ৩৮, উত্তর কমলাপুরের পেন্টাগন হোটেলের সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে। টহল পুলিশ ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টা ৪২ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই যুবকের (ভিকটিমের) নাম জানা যায়। ভিকটিমের নাম হৃদয় ওরফে আলিফ।
এরপর হৃদয়ের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পেন্টাগন হোটেলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, একটি মোবাইলকে কেন্দ্র করে হৃদয়ের সঙ্গে ফাহিম নামের আরেক যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাহিম কেঁচি দিয়ে হৃদয়ের বুকে আঘাত করে।
ফাহিমকে গ্রেফতার ও আঘাত করা কেঁচি উদ্ধার সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বুধবার সকাল ৮টায় মতিঝিলের যুগান্তর গলি থেকে ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মতিঝিলের সিরাজ ভবনের পাশে ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত কেঁচি ও ফাহিমের গায়ে থাকা রক্তমাখা টি-শার্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।