নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একের পর এক সিরিজ, জৈব সুরক্ষা বলয়ের টানা ধকল শেষে লম্বা ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। তিন সপ্তাহের ছুটি শেষে একদম ওমানে গিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্যাম্প। ১০ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পরের দিন থেকেই শুরু হয় ছুটি। কোচরা ছুটি নিয়ে চলে গেছেন নিজ নিজ দেশে তাদের পরিবারের কাছে। জিম্বাবুয়ে সফর, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের টানা খেলার পর ক্রিকেটারদেরও মিলেছে কাক্সিক্ষত অবসর। ছুটিয়ে কাটিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আগামী ৩ অক্টোবর ওমানে যাবে বাংলাদেশ দল।
এর আগে ঘরের মাঠে আর কোন অনুশীলন ক্যাম্প রাখা হয়নি। ১৭ অক্টোবর ওমানে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য দুই সপ্তাহ সময় পাবে বাংলাদেশ। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান ওমানে ঠিকভাবে প্রস্তুত হতে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তারা, ‘ওমানে স্থানীয় একটি দলের সঙ্গে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছি। এছাড়া আইসিসির দুটি অফিসিয়াল ম্যাচ আছে। আশা করি ভালোভাবেই দলের প্রস্তুতি হবে।’
বিশ্বকাপের আগে লম্বা সময়ের এই ছুটির পেছনে আরেকটি কারণও জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী। বিশ্বকাপের পর পরই আছে ঠাসা সূচি। নভেম্বর- ডিসেম্বরে সিরিজ খেলতে আসবে পাকিস্তান। এরপর আছে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর। মার্চে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এর ফাঁকে বিপিএল আয়োজনেরও চিন্তা আছে। কাজেই এই সময়টায় ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে চাপমুক্ত। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও জানান, টানা খেলার ধকলের পর ছুটিতে কতটা প্রয়োজনীয়, ‘এই ছুটিটা তাদের প্রাপ্য ছিল। বিশ্বকাপের আগে সবার সতেজ থাকা দরকার। অনেক সময় খেলার বাইরে থাকা অনেক কাজে দেয়।’
তবে এই ছুটিতে অলস সময় না কাটিয়ে স্কোয়াডের ৫ সদস্য যাচ্ছেন ওমরা পালনে। পেসার তাসকিন আহমেদ ও তার বাবা আব্দুর রশিদের সাথে ওমরা পালনে যাবেন ওপেনার নাঈম শেখ, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান, অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের সাথে যাবেন ক্রিকেটার জাকির হাসানও। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সউদী আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন তারা। ওমরা শেষে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে প্রিয়জনদের সাথে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন তাসকিন-সোহানরা। এরপর প্রস্তুত হতে হবে বিশ্বকাপের জন্য। বাংলাদেশ দল অবশ্য বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করবে ওমান গিয়ে। সেখানে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সুপার টুয়েলভের। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ দল ওমানের উদ্দেশে যাত্রা করবে। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার টুয়েলভসে উঠলে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।