নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৫ সদস্যের ৮ জনেরই প্রথম বিশ্বকাপ
তামিম ইকবাল নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড অনেকটা অনুমিতই ছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সেটিও হয়ে গেল। আসন্ন টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল দুপুরে মিরপুর শের—ই—বাংলা স্টেডিয়ামে দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে নেই তেমন কোনো চমক। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি—টোয়েন্টি সিরিজে খেলা ক্রিকেটারদের থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে সেরা ১৫ জন।
তবে একটি জায়গায় অনন্য এবারের দল। একজন বাঁহাতি পেসার। আরেকজন ফিনিশার। টি—টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই দুই দক্ষতার ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেটে খুব কমই আছেন। দুজনের আরেকটি অর্জনও বিরল, তারা দুজনই বিশ্বমঞ্চে শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। ২০২০ অনূর্ধ্ব—১৯ বিশ্বকাপ জয়ের এক বছরের ব্যবধানে দুজনই জায়গা করে নিয়েছেন অক্টোবর—নভেম্বরের টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। তারা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
জাতীর দলের হয়ে ১০টি টি—টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন শরিফুল। ১৬.৪৬ গড় ও ৭.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত, শরীফুল তার ছোট্ট ক্যারিয়ারেই সেটি প্রমাণ করেছেন। আর প্রত্যাশার ডালি সাজিয়ে গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে টি—টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শামীমের। নিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে খেলেন ২৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। পরের ম্যাচে ১৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য এরই মধ্যে খেলে ফেলা ৩৬ টি—টোয়েন্টিতে প্রায় দেড়শ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫০৬ রান। একমাত্র ফিফটিতে অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে।
এছাড়া স্কোয়াডে রাখা হয়েছে আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ পেস বোলার। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। আছেন সাকিব আল হাসানসহ তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। বাকিরা হলেন নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। অনিয়মিত স্পিনার ধরলে বিকল্প থাকছে আরও তিনটি— অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজে, সঙ্গে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ফিনিশার শামীমতো আছেনই।
১৫ সদস্যের দলের আট জনই যাচ্ছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে। তারা হলেন লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাসুম, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল। এদের মধ্যে শামীম ও শরিফুল গত বছর অনূর্ধ্ব—১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ যুব দলের সদস্য ছিলেন। মূল দলের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
ওমানে টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও স্বাগতিকদের বিপক্ষে। এই বাধা পেরিয়ে গেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘সুপার টুয়েলভ’ রাউন্ডে অংশ নেবে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও প্রথম রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপ থেকে উঠে আসা একটি দল।
বাংলাদেশের টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।
রিজার্ভ বেঞ্চ : রুবেল হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।