Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নিউজিল্যান্ডের প্রস্তুতির অংশ ‘বাংলাদেশও’!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য প্রস্তুতিতে কোনো কমতিই রাখেনি নিউজিল্যান্ড। মন্থর উইকেট তৈরি করে অনুশীলন করা, দুটি ক্যাম্প করা, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্লেষণ করা, এসব তো হয়েছেই। এখানকার কন্ডিশন ও ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে তারা বাংলাদেশের সাবেক কোচদের থেকেও। সব মিলিয়ে খর্বশক্তির দল পাঠালেও তারা আটঘাঁট বেঁধেই এসেছেন।

বাংলাদেশের সাবেক কোচ শেন জার্গেনসেন অনেক দিন থেকেই নিউজিল্যান্ডের বোলিং কোচ। এই সফরে তিনি আসেননি। তবে নানান তথ্য দিয়ে দলকে সহায়তা করেছেন প্রস্তুতিতে। এই সফরে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ড নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সাবেক ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরাকে। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের এই সফরের প্রধান কোচ গ্লেন পকন্যাল ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের হয়ে অনেক দিন কাজ করেছেন বাংলাদেশের আরেক সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই পকন্যালের কাছ থেকেই জানা গেল এসবের আদ্যপান্ত। বললেন, সিডন্স-সামরাবিরাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন তারা, ‘জেমির (সিডন্স) সঙ্গে তিন বছর কাজ করেছি আমি। এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে তার ভালো ধারণা আছে, থিলানেরও (সামারাবিরা) আছে। ব্যাপারটি হলো, ওদের কাছ থেকে জেনে তা সহজভাবে ক্রিকেটারদের সামনে তুলে ধরা। অবশ্য দিনশেষে, অপ্রত্যাশিত কিছুর জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। পিচ ও কন্ডিশন বদলাতেই পারে। বিভিন্ন সময়ে এসব বদলাতে পারে। সবকিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে।’

থিলান সামারাবিরাকে যে আশায় এই সফরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সাবেক শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন পকন্যাল, ‘সে দারুণ কাজ করছে। বাংলাদেশের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার, এশিয়ান কন্ডিশন সম্পর্কেও তার জানাশোনা অনেক। স্পিন বোলিং সামলানোয় আরও বেশি বিকল্প খুঁজে বের করতে ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করছে সে। আশা করি, এসব আমাদের জন্য এই ম্যাচগুলোয় অম‚ল্য হয়ে উঠবে।’

সার্বিক প্রস্তুতি যা হয়েছে, তাতে সন্তুষ্টই নিউজিল্যান্ড কোচ। এখন তিনি তাকিয়ে মাঠের লড়াইয়ে, ‘আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। নিউ জিল্যান্ডে গোটা দুই ক্যাম্প হয়েছে আমাদের, যেখানে আমরা চেষ্টা করেছি এখানকার মতো উইকেট তৈরি করে খেলতে। এখানেও প্রস্তুতি নিচ্ছি। দিন শেষে এসবই আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যতটা সম্ভব, সেরা প্রস্তুতি নিতে হবে যা আমাদের ম্যাচে সেরা পারফর্ম করার সুযোগ দেবে। আমরা পারফর্ম করতে চাই এবং বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই করতে চাই।’

১ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দর্শকশূন্য একই ভেন্যুতে পরের ম্যাচগুলো ৩, ৫, ৮, ও ১০ সেপ্টেম্বর। সফরকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সবক’টি ম্যাচই হবে বিকেল ৪টায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ