নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটিং শৈলী নিয়ে এতদিন সম্ভবত চিরশত্রুও সমালোচনা করার সাহস পেত না। তবে এবার ঠিকই সমালোচনা হচ্ছে। পুরনো টেকনিকে ব্যাট চালাতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন বিশ্বসেরা এই ব্যাটসম্যান।
চোখ বন্ধ করে অধিনায়কের সেই একই পন্থা অবলম্বন করতে গিয়ে ডুবলেন আজিঙ্কা রাহানে, রিশভ পন্তসহ টিম ইন্ডিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরাও। তার জেরেই চলতি ইংল্যান্ড সফরে ব্যর্থতার মুখে পড়তে হয়েছে।
একটা কথা প্রচলিত, ইংল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে ক্রিজের বাইরে এসে ব্যাট চালালে সুইং সামলানো সহজ হয়। শেষ মুহূর্তে বল সুইং করার আগে খেলে দিতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। যে পন্থা অবলম্বন করে ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে সাফল্য পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এবারও ইংল্যান্ড সিরিজে সেই একই পন্থা অবলম্বন করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
কিন্তু তাতে মোটেও সাফল্য মেলেনি। অফস্টাম্পের বাইরে (পঞ্চম স্টাম্প) বল থাকলেই সমস্যায় পড়েছেন। তাতে খোঁচা দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে সুইং সামলাতে পারছেন না কোহলি।
ভারতীয় অধিনায়কের দেখানো সেই পথে হাঁটতে গিয়ে হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন রাহানেরাও। অর্থাৎ ফ্রন্টফুটে খেলছেন তারা। ব্যাকফুটে দাঁড়িয়ে বলের জন্য অপেক্ষা করছেন না। বরং আগেই বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তাতেও অবশ্য কোনো লাভ হয়নি।
ক্রিজের বাইরে বেরিয়েও সুইংয়ের কাছে পরাস্ত হয়েছেন পূজারা-রাহানেরা। পন্ত তো প্রথম ইনিংসে এতটাই ক্রিজের বাইরে ছিলেন যে পিচের বিপজ্জনক জায়গায় চলে এসেছিলেন। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হচ্ছে।
সেসব বিতর্ক ছাপিয়ে অবশ্য ভারতীয় মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সেই ফ্রন্টফুটে ক্রিজের বাইরে খেলার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ক্রিকেটবিষয়ক টিভিসাইট সনি সিক্সের অনুষ্ঠানে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরকরের মন্তব্য, ‘কোহলি লাগাতার ফ্রন্টফুটে খেলছেন। ব্যর্থ হওয়ার পরও খেলছেন। আর বাকিরাও তাকে নকল করার চেষ্টা করছেন। আরও একটি যে পা আছে, তা যেন তারা ভুলে গেছেন। সামনের পায়ে যাবতীয় ভর দিচ্ছেন। উলটো দিকে জো রুটরা কিন্তু ঠিকই ব্যাকফুটে খেলছেন।‘
এদিকে, তৃতীয় টেস্টে শনিবার (২৮ আগস্ট) ইনিংস ও ৭৬ রানে হেরেছে বিরাট কোহলি বাহিনী। ভারত প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার পর ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে করে ৪৩২ রান। শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী শিবির ২৭৮ রানে অলআউট হলে এক দিন হাতে রেখেই ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ ব্যবধানে সমতা আসলো। প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে ৫১ রানে জিতেছিল রবি শাস্ত্রীর শিষ্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।