নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারত,অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডে পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক ভেন্যুর পাশাপাশি অসংখ্য ক্রিকেট খেলার মাঠ রয়েছে। এশিয়ার ক্রিকেট শক্তি শ্রীলঙ্কারও মাঠের অভাব নেই। রাজধানী কলম্বোতেই অন্তত এক ডজন ক্রিকেট মাঠ আছে। যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে খেলা ছাড়াও নিয়মিত ক্রিকেট চর্চা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরও বসে। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলার মাঠের বড়ই অভাব। রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোয় গড়পড়তা প্রায় একটি করে ক্রিকেট স্টেডিয়াম থাকলেও, সেই অর্থে দেশের কোথাও ক্রিকেট মাঠ নেই। আর রাজধানীতে তো মাঠের বড্ডই অভাব। সবেধন নীলমনি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামই ঢাকার একমাত্র ভরসা। এখানে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়মিত আয়োজন হলেও পুরোদস্তুর টেস্ট ভেন্যু হিসেবে দেশে আরো ক’টি স্টেডিয়াম আছে। এগুলো হচ্ছে-ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। কিন্তু এই কি যথেষ্ট? এক সময় রাজধানীতে ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম (আবাহনী মাঠ) ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ভেন্যু। ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট, প্রিমিয়ার লিগ এবং প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ ছাড়াও এখানে নিয়মিত জাতীয় লিগের খেলা হতো। কিন্তু কালের আবর্তে এখন তা আর নেই। স্বনামধন্য ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আর ক্রিকেট হয় না!
আবাহনী মাঠ এখন আর ঘরোয়া ক্রিকেটের ভেন্যু নেই। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট ও জাতীয় লিগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভেন্যু হিসেবে নির্মাণ হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়াম। কিন্তু অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে এই স্টেডিয়ামের পানি নিষ্কাশন সমস্যা প্রকট। একটু বৃষ্টি হলেই ফতুল্লা স্টেডিয়ামে হাঁটু পানি জমে যায়। এখানে এখন আর ক্রিকেট চর্চা হয়না। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠ, বুয়েট মাঠ ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠও এক সময় ছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় বিভাগসহ জুনিয়র ক্রিকেট লিগগুলোর ভেন্যু। সেগুলোতেও এখন নিয়মিত ক্রিকেট চর্চা নেই। মূলত ভেন্যুগুলোর সংস্কার না হওয়ায় খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তীব্র মাঠ সংকট। অবশেষে এই মাঠ সংকট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ নয়, বিসিবি এখন নতুন নতুন মাঠ কিনতে চায়! বৃহস্পতিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমনটাই জানালেন। এদিন রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে বিসিবি’র বার্ষিক সাধারণ সভাশেষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট মাঠের খুবই অভাব। স্টেডিয়াম আছে। কিন্তু মাঠ নেই। আমরা সারা দেশে আরও বেশি করে ক্রিকেট খেলার মাঠ চাই। সে লক্ষ্যে আমরা গোটা দেশে নতুন নতুন ক্রিকেট মাঠ কিনতে চাচ্ছি এবং খুব শিগরিই এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।