Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যারিবীয়দের অপেক্ষা বাড়িয়ে জিতল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

২০০৫ সালে হয়নি, ২০১১ সালের সিরিজেও নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গিয়েই শেষমেশ সিরিজটা আর জেতা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে সদ্যসমাপ্ত জ্যামাইকা টেস্টের চারটিরও বেশি সেশন বৃষ্টি, ভেজা আউটফিল্ড, আর আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচটা ড্র আর উইন্ডিজের সিরিজ জয়ের আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল দারুণভাবে।
সে আশায় পানি ঢাললো পাকিস্তানের ‘পজিটিভ অ্যাপ্রোচ’। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, শাহিন শাহ আফ্রিদির আগুনঝরা বোলিং। উইন্ডিজকে পুরো টেস্টেই আন্ডারডগ বানিয়ে গতকাল শেষমেশ ম্যাচটা জিতেছে ১০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। এর ফলে ২০০৫ আর ২০১১ এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে পাকিস্তান আরও একটা টেস্ট সিরিজ ড্র করে ফিরেছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে।
সফরকারীদের নায়ক নিশ্চিতভাবেই শাহিন শাহ আফ্রিদি। দশ উইকেট তুলে নিয়েছেন দুই ইনিংস মিলিয়ে। তবে পাকিস্তানের এই জয়ে পার্শ্বচরিত্রও নেহায়েত কম নেই। প্রথম ইনিংসে ফাওয়াদ আলম যদি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে না যেতেন, না করতেন অনবদ্য, রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি, কিংবা তাকে যোগ্য সঙ্গ না দিতেন বাবর আজম, অথবা শেষ দিনে নুমান আলির তিন উইকেট যদি সঙ্গ না দিত আফ্রিদিকে, তাহলে কি এমন দাপুটে জয় ধরা দিত পাকিস্তানের হাতে? হয়তো, হয়তো নয়!
বাবর আজমের দলের এমন অলরাউন্ড আক্রমণের সামনে নাকাল হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ২০০১ সালের পর নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজ হারানোও আর হয়ে উঠল না স্বাগতিকদের। গতকাল জ্যামাইকা টেস্টের শেষ দিনে ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯ উইকেট। দুই দশক পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হতো ৯ উইকেট হাতে রেখে ২৮০ রান। ম্যাচের শেষ দিনে হতে পারে যেকোনো ফল—এমন সমীকরণ নিয়ে কাল মাঠে নেমেছিল দুই দল। তবে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসও শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিরিজ বাঁচিয়েছে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রানেই অলআউট করে নিজেদের কাজ আগেই সেরে রেখেছিল পাকিস্তান, যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল শাহিনের। ৫১ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ম্যাচ জিততে ৩২৯ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত ছিলেন এই পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার।
দ্বিতীয় ইনিংসে শাহিনের শিকার ৪ উইকেট। তবে জয়ের পর শাহিন অবশ্য দলগত পারফরম্যান্সকে ম্যাচ জয়ের কারণ মনে করছেন, ‘দারুণ চেষ্টা ছিল, যার পুরোটায় দলগত প্রচেষ্টা। আমার থেকে দলের যেটি দরকার ছিল আমি সেই কাজটাই করেছি। কাজটা সহজ ছিল না, কারণ শেষ দিনে অনেক গরম ছিল। আমরা জানতাম একটা উইকেট ফেলাতে পারলে পরের উইকেটগুলো নেওয়া সহজ হবে। আমরা তাই আমাদের শতভাগ দিয়েছিলাম।’
দুই ইনিংস মিলে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সে ম্যাচ-সেরাও শাহিন। আগের দিনের ১ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে শেষ দিনের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল ক্যারিবীয়রা। অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েট আর নাইট ওয়াচ ম্যান আলজারি জোসেফ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা দেখাচ্ছিলেন।
দলীয় ৬৫ রানে শাহিনের বলে জোসেফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ম্যাচ হেলে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। ১০০ রানের আগে এনক্রুমা বোনার ও রোস্টন চেজকে হাসান আলী ফেরালে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষ দিকে নোমান আলী আর শাহিন আফ্রিদির বোলিং তোপে ২১৯ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 



 

Show all comments
  • মোঃ আনোয়ার আলী ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৪:২১ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ