নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফগানিস্তানে একের পর এক এলাকার দখল নিচ্ছে দেশটির তালেবান গোষ্ঠী। ইতোমধ্যে দেশটির অধিকাংশ এলাকার দখল নিয়েছে তালেবানরা। এখন তারা রাজধানী কাবুল দখলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের কান্দাহার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খোস্ত সিটি স্টেডিয়াম এবং কুন্দুজ ক্রিকেট স্টেডিয়াম তালেবানদের দখলে চলে গেছে। ফলে দেশটির আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, তালেবানরা ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের কান্দাহার ও গজনির মতো বড় বড় শহর, ১০টির বেশি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, তালেবানরা বর্তমানে রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে দেশটির পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
জানা যায়, আফগানিস্তানে প্রধান ৬টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্টেডিয়ামের দখল ইতোমধ্যে নিয়ে নিয়েছে তালেবানরা। অথচ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে আফগানিস্তান দলের নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কারণ আসছে অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
কিন্তু তালেবানরা একদিকে স্টেডিয়ামের দখল নিয়েছে, অন্যদিকে দেশটির বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের অনুশলীন করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান দলের অংশ গ্রহণ করা নিয়ে তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশের অস্থির অবস্থা দেখে দুদিন আগেই ক্রিকেটার রশিদ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। অলরাউন্ডার মহম্মদ নবিও ট্যুইট করেন দেশের এমন পরিস্থিতি নিয়ে।
উল্লেখ্য, জাতীয় দলের বড় সংখ্যক ক্রিকেটার আফগানিস্তানেই অবস্থান করছেন। আর রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং মহম্মদ নবি আইপিএল খেলার জন্য দেশের বাইরে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারাও ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না। দেশটির জনগনের দুশ্চিন্তা এখন শুধুই তালিবানদের নিয়ে। ক্রিকেট আপাতত পেছনের সারিতে চলে গেছে আফগানিস্তানে।
তালেবানদের অভিযানের কারণে কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আপাতত বন্ধ। শুধুমাত্র জালালাবাদের গাজি আমানুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখনও আফগান সরকারের দখলে আছে। তালেবানরা কাবুল দখল করলে সেই স্টেডিয়ামও হাতছাড়া হয়ে যাবে। দেশটির বেশিরভাগ ক্রিকেটার কাবুলের স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুশীলন তো দুরের কথা, ক্রিকেটাররা নিজেদের ও পরিবারের জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু হবে, তা কেউ জানে না। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।