নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করার পথে দুর্দান্ত খেলেছেন সাকিব আল হাসান। সিরিজসেরার পুরস্কার উঠেছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের হাতে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর আশা, সাকিবের এই ছন্দ অব্যাহত থাকবে সামনেও।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর বোলিংয়ে নিয়মিত ভালো করলেও ব্যাট প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছিল না সাকিবের। জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যাটিং-বোলিং দু’টিতেই ছন্দে ফিরেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার সিরিজেও সেটা ধরে রেখেছেন। সেটির পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন আইসিসির দু’টি স্বীকৃতিও। হয়েছেন জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় ও উঠেছেন টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর প্রত্যাশা সাকিবের এই ছন্দ থাকবে সামনেও, ‘সাকিবের যে নিবেদন, সেটা দুর্দান্ত। জাতীয় দলে সে খুবই পরিশ্রমী খেলোয়াড়। এটা শুধু দক্ষতার ব্যাপার না। বাংলাদেশের খেলার সময় সে যেমন মানসিকতা দেখায়, তা দারুণ। গত কয়েক মাস তার মাইন্ড-সেট খুব ভালো অবস্থায় আছে। সে যেভাবে খেলেছে, আমি তৃপ্ত। সে সব সময় ভালো করে। নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের এই ক্ষুধা (সাফল্যের) যেন অব্যাহত থাকে।’
সাকিব তো আছেনই। দুর্দান্ত খেলছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ খেলোয়াড়েরাও। তরুণদের নিয়ে ডমিঙ্গোর মূল্যায়ন, ‘বাংলাদেশে সিনিয়র ও তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক কথা হয়। এটা খুবই অপ্রয়োজনীয়। আমি তাদের তরুণ খেলোয়াড় বলব না, বরং কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ই বলতে চাইব। তবে আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাঈম, সোহান (নুরুল) দারুণ খেলেছে। তারা রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে, শরীরী ভাষাও দারুণ ছিল। ভালো করতে তারা বেশ ক্ষুধার্তও ছিল। সামনে এগিয়ে এসে দলকে তারা ম্যাচ জিতিয়েছে, এটা দেখা ছিল দারুণ ব্যাপার।’
এছাড়া দলে তরুণ খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে তাতে আনন্দিত এই প্রেটিয়া, ‘বাংলাদেশে সিনিয়র ও তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক কথা হয়। এটা অপ্রয়োজনীয়। আমি তাদের তরুণ খেলোয়াড় বলব না, বরং কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ই বলতে চাইব। তবে আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাঈম, সোহান (নুরুল) দারুণ খেলেছে। তারা রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে, শরীরীভাষাও দারুণ ছিল। ভালো করতে তারা বেশক্ষুধার্তও ছিল। সামনে এগিয়ে এসে দলকে তারা ম্যাচ জিতিয়েছে, এটা দেখা ছিল দারুণ ব্যাপার।’
সাকিব-তামিম-মুশফিকরা অবসরে গেলে স্বাভাবিকভাবেই বিরাট এক শূন্যতা তৈরি হবে বাংলাদেশ দলে। তবে তাদের শূন্যস্থান পূরণে তরুণদের নিয়ে বেশ আশাবাদী ডমিঙ্গো, ‘সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে আগলে রেখেছে। তারা সবাই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু একসময় তারা আর থাকবে না। সময়ের সঙ্গে অন্যদেরও এগিয়ে এসে তাদের (সাকিব-মুশফিকদের) জায়গা নিতে হবে এবং সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের উচিত নতুন খেলোয়াড়ের ওপর বিনিয়োগ করা। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে নতুনেরা পুরোনোদের জায়গাটা ঠিকভাবে নিতে পারছে। তারা (সাকিব-মুশফিকরা) দুর্দান্ত খেলোয়াড়, এই জায়গা নেওয়ার কাজটা মোটেই সহজ হবে না। জাতীয় দলের নিচের কাঠামোগুলোতে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমন খেলোয়াড় যেন তৈরি হয়, যারা জায়গাগুলো নিতে পারবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।