নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় চাট্টিখানি কথা নয়। বছরের শুরুতে পাওয়া সেই আকাশচুম্বী আত্মবিশ্বাসে ভর করে এবার ভারতের নজর ইংল্যান্ড জয়ে। ভারতীয় লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলের বিশ্বাস, এই চ্যালেঞ্জও জয় করতে পারবে তারা। ইংল্যান্ড-ভারতের পাঁচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে আজ, ট্রেন্ট ব্রিজে। ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় কতটা কঠিন কিংবা দেশের মাটিতে ওরা কতটা শক্তিশালী, সেসব নিয়ে ভাবছেন না চেহেল। যে ব্রিজবেনে ৩২ বছরে ৩১ টেস্টে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, গত জানুয়ারিতে সেই দুর্গ গুঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ফিরেছিল ভারত। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের সেই ধারাবাহিতা এবার ইংল্যান্ডে দেখাতে মরিয়া দলটি।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, লক্ষ্য প‚রণে খুব কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ভারতের সামনে। ইংল্যান্ডে যে তারা সিরিজ জেতেনি সেই ২০০৭ সালের পর থেকে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে তারা হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল ৪-০ তে। এরপর ২০১৪ সালে ৩-১ ও ২০১৮ সালে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হার সঙ্গী হয় তাদের। এবার বিরাট কোহলির নেতৃত্বে সেই হারের বৃত্ত ভাঙবে ভারত, টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশার কথা শোনালেন চেহেল, ‘এই সিরিজটি হবে দারুণ রোমাঞ্চকর। আমি ভারতকে ফেভারিট হিসেবে দেখছি। অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারানোর পর আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। আমি নিশ্চিত, বিরাট (কোহলি) ভাইয়া ইংল্যান্ডে ভারতকে সিরিজ জয় এনে দেবে।’
কন্ডিশন কঠিন, তবে দল হিসেবে কম শক্তিশালী নয় ভারত। দারুণ সব ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া এই দলের ওপর তাই আস্থার কমতি নেই চেহেলের, ‘ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং; সব দিকেই আমরা শক্তিশালী। আমাদের এমন ব্যাটসম্যান আছে যারা যেকোনো সময় বা যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করতে আনতে সক্ষম। আমাদের বোলাররা যেকোনো সময় উইকেট এনে দিতে পারে। ইংল্যান্ডে সিরিজ জয়ের জন্য আমাদের শক্তিশালী দল রয়েছে।’
ইংল্যান্ড সফরে অবশ্য দলে নেই এখনও কোনো টেস্ট না খেলা চেহেল। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দেশে ফিরে গেছেন ৫৬টি ওয়ানডে ও ৪৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই স্পিনার। নিজ দেশের, নিজ দলের সফলতা যে কেউই চাইতে পারে। তাই বলে প্রতিপক্ষ শিবিরও! ঘরের মাঠ, চেনা কন্ডিশন। তবুও স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মানছেন না মাইকেল ভন। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নিজ দেশের হার দেখছেন সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক। তাও আবার ৩-১ ব্যবধানে!
ভনের মতে, ১৪ বছর পর ইংল্যান্ডে সিরিজ জয়ের এবারই সেরা সুযোগ ভারতের সামনে। ভারতকে এগিয়ে রাখার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। কদিন আগেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সেরা অলরাউন্ডারদের একজন বেন স্টোকস। চোটের কারণে প্রথম দুই টেস্টের দলে নেই জফ্রা আর্চার ও ক্রিস ওকস। এদের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডকে কিছুটা খর্বশক্তিরই মনে হচ্ছে তার। আর এই সুযোগই ভারত কাজে লাগাতে পারে, বিবিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় বললেন ৫১ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া ভন, ‘এমনটা বলতে আমার ভালো লাগছে না, তবে যুক্তরাজ্যে জেতার সেরা সুযোগ পেয়েছে ভারত। শুরুর ম্যাচগুলোতে নেই বেন স্টোকস, জফ্রা আর্চার ও ক্রিস ওকস।’
ভারতের অবশ্য ইংল্যান্ডের মাটিতে সাফল্য খুব বেশি নেই। ১৯৩২ সাল থেকে এখানে ১৮ বার টেস্ট সিরিজ খেলেছে তারা, জিতেছে কেবল তিনবার। ইংল্যান্ডে তাদের সবশেষ সিরিজ জয় ২০০৭ সালে। এরপরের তিন সফরে সঙ্গী কেবলই হতাশা। ২০১১ সালে তারা হোয়াইটওয়াশড হয় ৪-০ তে। ২০১৪ সালে ৩-১ ও ২০১৮ সালে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। তবে ইংল্যান্ডের সা¤প্রতিক পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো নয়। গত জুনে তারা নিজেদের আঙিনায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। এর আগে ভারত থেকে চার ম্যাচের সিরিজ হেরে এসেছে ৩-১ ব্যবধানে। এ সবকিছু বিবেচনায় ভারতকেই শক্তিশালী মনে হচ্ছে ভনের, ‘ইংল্যান্ড দলের অবস্থা যদি টালমাটাল নাও হয়, গত বছর বা এর চেয়ে বেশি সময় ধরে কিছুটা ভালো-খারাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তারা। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর অনেক ক্রিকেটারই চাপের মধ্যে রয়েছে। ভারতের আছে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ ও সব ধরনের বৈচিত্র্য নিয়ে অসাধারণ এক বোলিং লাইন-আপ। ফলাফল হবে, ইংল্যান্ড ১-৩ ভারত।’
ভারতের সিরিজ জয়ের সেই সুযোগ কাজে লাগানোর পথচলা শুরু আজ থেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।