নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এবার কেড়ে নিল সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও কোচ কাজী আব্দুস সাত্তার কচি’কে। করোনায় আক্রান্ত হয়েই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মুখ ছিলেন কাজী আব্দুস সাত্তার কচি। সবার কাছে তিনি ওস্তাদ নামেই পরিচিত ছিলেন। গত মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। পরে সেখানেই ইন্তেকাল করেন কচি। কাল বাদ এশা বসুপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আব্দুস সাত্তার কচি একাধারে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার, জাতীয় লিগে খুলনার প্রথম শিরোপা জয়ী দলের কোচ, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সাবেক ভেন্যু ম্যানেজার ছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে খুলনার সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট খেলেন তিনি। খুলনার জেলা ও বিভাগীয় দলেরও নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। এমসিসি›র বিপক্ষে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ প্রথম কোন ফাস্ট ক্লাস স্বীকৃত ম্যাচ খেলে। যশোরে হওয়া এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে খেলেছিলেন কচি। ১৯৮২ সালে তিনি ভারতের পাতিয়ালা থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর ইন্দিরা গান্ধী স্কলারশীপ নেন। ২০০৩ সালে জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের কোচ ছিলেন। তার হাত ধরেই ওই বছর জাতীয় লিগে প্রথম শিরোপা জয় করে খুলনা। ভেন্যু ম্যানেজার হিসেবে ২০০৪ সালে দায়িত্ব নেন খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের। টানা ১৫ বছর শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে আগলে রেখে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর নেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।