নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে হারারে টেস্টের শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধারের কাজ করছেন মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদমান। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভারের ফুলার লেন্থ বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ২৩ রান করা সাদমান।
স্কোর: ৬৮/৩ (২১ ওভার)
ব্যাটসম্যান: মুমিনুল হক ৩১, মুশফিকুর রহিম ০*।
জুটি: ০* রান।
আউট: সাইফ ০, শান্ত ২, সাদমান ২৩।
প্রথম ঘণ্টার লড়াইয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ
হারারে টেস্টের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ে স্বপ্নের মতো শুরু পেয়েছে। প্রথম ঘণ্টায় দ্যুতিময় বোলিংয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ঘণ্টার লড়াইয়ে ব্যাকফুটে অতিথিরা।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। ব্যাট-প্যাডের কোনো রসায়নই ছিল না। বল মিস করে উইকেট হারান তিনি।
পঞ্চম ওভারে মুজারাবানির শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত। ডানহাতি পেসারের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ২ রান করা শান্ত। এরপর কিছুটা লড়াই করতে দেখা যায় সাদমান ও মুমিনুলকে।
অষ্টম ওভারে মুমিনুলের ব্যাট হাতে আসে প্রথম বাউন্ডারি। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার প্যাডের ওপরের বল সীমানার বাইরে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক। ওই ওভারে একই শটে আরেকটি বাউন্ডারি পান তিনি। সাদমানের ব্যাটিং ধীর স্থির। দেখেশুনে খেলছেন এ ওপেনার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
তামিম নেই, ফিরলেন সাকিব-সাদমান-মাহমুদউল্লাহ
হাঁটুর চোটে ভোগা তামিমকে ছাড়াই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সাদমান ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর দলে আসলেন তিনি। সাকিবও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর দলে ফিরলেন। মাঝে শ্রীলঙ্কা সফর করেননি আইপিএল খেলতে যাওয়ায়। ১৬ মাস পর টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে মাহমুদউল্লাহও যোগ দিয়েছেন একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক সৌরভ, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাশ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: রেগিস চাকাভা, রয় কাইয়া, তাকুজওয়ানাশে কাইতানো, টিমিসেন মারুমা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিওন মায়ের্স, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, মিল্টন শুম্বা, ব্রেন্ডন টেলর, ডোনাল্ড তিরিপানো।
৮ বছর পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাংলাদেশ
২০১৩ সালে বাংলাদেশ শেষ জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল। সাকিব-তামিমরা লম্বা সময় ধরে জিম্বাবুয়েতে না গেলেও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেইলরা কিংবা ক্রেইগ আরভিনরা হরহামেশা বাংলাদেশে এসেছেন। সব মিলিয়ে মাঝের সময়ে ৬ টেস্ট, ১৬ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলেছে দুই দল।
বাংলাদেশের খেলার মান অনেক পরিবর্তন হলেও ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের অভিজ্ঞতা কিন্তু ভালো ছিল না। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ এ ড্রয়ের আগে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল। টেস্ট সিরিজও ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল। ফলে অতীত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে না মোটেও।
পাশাপাশি জিম্বাবুয়েতে এর আগে সাত টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের রেকর্ড ভালো নয়। একটি করে জয় ও ড্র। বাকি পাঁচটিতেই হার। আফ্রিকার দক্ষিণের দেশটি থেকে কখনও টেস্ট সিরিজ জিততেও পারেনি। এবার এক টেস্ট জিততে পারলেই সিরিজ জিততে পারবে বাংলাদেশ। মুমিনুলের নজর সেদিকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।