Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানকে নিজের দেশ মনে করেন হাসান আলীর স্ত্রী সামিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ২:১৪ পিএম

বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারকে। তাই পাকিস্তানকে নিজের দেশ মনে করেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার হাসান আলির স্ত্রী সামিয়া আলি।

এই সুদর্শনীর জন্ম ভারতে। সে কারণেই কিনা দেশের অধিনায়কের প্রতি তার এই আবেগ! বিয়ে করার পরও স্ত্রীর কাছে প্রিয় হতে পারছেন না হাসান আলি।

দুই বছর আগে হাসানকে বিয়ে করা সামিয়া আলির জন্ম হরিয়ানায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নারীর বাবা লিয়াকত আলি ছিলেন হরিয়ানা সরকারের অধীনস্ত সমষ্টি উন্নয়নকর্মী।

তবে হরিয়ানায় জন্ম হলেও গত ১৫ বছর সপরিবার তারা ফরিদাবাদে থাকেন। ফরিদাবাদেই সামিয়ারা ছয় ভাইবোন একসঙ্গে বড় হয়েছেন।

স্কুলশিক্ষা শেষ করে সামিয়া ফরিদাবাদের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন।

পড়ালেখা শেষে একটি বিমান সংস্থায় চাকরি নেন সামিয়া। চাকরির সুবাদে চলে যান দুবাইয়ে। বিয়ের আগ পর্যন্ত সেখানেই থাকতেন।

২৬ বছরের হাসান আলি তখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উঠতি তারকা। দারুণ বোলিং করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার মধ্যে ভবিষ্যতের ওয়াসিম-ওয়াকার খুঁজে পান পাকভক্তরা।

দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন হাসান। তখনই এক বন্ধুর মাধ্যমে সামিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ। পরিচয় থেকে প্রণয়।

প্রথম দেখাতেই সামিয়াকে ভালো লেগে গিয়েছিল হাসান আলির। কিন্তু সামিয়া ক্রিকেট নিয়ে কোনো দিনও কৌতূহলী ছিলেন না। তাই হাসানকেও তিনি চিনতেন না।


এই সুদর্শনীর জন্ম ভারতে। সে কারণেই কিনা দেশের অধিনায়কের প্রতি তার এই আবেগ! বিয়ে করার পরও স্ত্রীর কাছে প্রিয় হতে পারছেন না হাসান আলি।

দুই বছর আগে হাসানকে বিয়ে করা সামিয়া আলির জন্ম হরিয়ানায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নারীর বাবা লিয়াকত আলি ছিলেন হরিয়ানা সরকারের অধীনস্ত সমষ্টি উন্নয়নকর্মী।

একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে সামিয়ার অবচেতন মন ছুঁয়ে গিয়েছিল হাসানকে। সাক্ষাতের প্রথম দিন থেকে বন্ধুত্ব হয়ে যায় দুজনের। পরে হাসানকে ভালো লেগে যায় সামিয়ার।

এক বছরের প্রেমের পরই তারা নিজেদের পরিবারকে এই সম্পর্কের কথা জানান। যদিও সীমান্তের দুই পাড়ের দুই পরিবার কীভাবে বিষয়টি নেবে তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দ্বে ছিলেন দুজনেই।

অগ্রজ শোয়েব মালিককে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন হাসান আলি। শেষ পর্যন্ত পরিবার দুজনের বিয়েতে সায় দেয়। হাসানকে নিয়ে যেমন সামিয়ার পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না, তেমন সামিয়ার কথা জানা মাত্রই তাকে স্বাগত জানায় হাসানের পরিবারও।

সীমান্তের দুই পাড়ের রাজনীতির সঙ্গে এই সম্পর্ক কখনও মিশিয়ে ফেলেনি তাদের পরিবার। সামিয়ার পরিবার পাকিস্তানকে আলাদা দেশ বলে মনেও করে না।

২০১৯ সালের ২০ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারও নিমন্ত্রিত ছিলেন।

২০২১ সালের ৬ এপ্রিল মহামারির মধ্যেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রেখেছেন হেলেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ