নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়ের মঞ্চ তৈরি ছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। নতুন দিনের প্রথম বলেই ইংলিশদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে সে পথে আরেকটু এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। পরে চল্লিশ রানেরও কম লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২২ বছর পর টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল সফরকারীরা। সেই সাথে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ভারতকে বার্তাটা ভালোভাবেই দিয়ে রাখল কিউইরা।
গতকাল এজবাস্টন টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই জো রুটের দলকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দলটির বিপক্ষে এই ব্যবধানে জয় এর আগে তারা পেয়েছিল কেবল একবার, ১৯৮৬ সালে। লর্ডসে প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল বø্যাকক্যাপস বাহিনী। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি তাদের তৃতীয় সিরিজ জয়, ১৯৯৯ সালের পর প্রথম।
মূলত তৃতীয় দিনেই এজবাস্টন টেস্ট নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। মাত্র ১২২ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনে শেষ ব্যাটসম্যান জুটি মাঠে নেমেও স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেনি দলটি। ট্রেন্ট বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ওলে স্টোনস। ফলে মাত্র ৩৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পারে তারা।
প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রান করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে কেবল ১২২ রান। আর তাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সুযোগ আসে ১০ উইকেটে টেস্ট জয়ের। কিন্তু মাত্র ৩৮ রানের লক্ষ্যেও প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রান করা নিউজিল্যান্ড হারায় দুই উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান দারুণ ছন্দে থাকা ডেভন কনওয়ে। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে উইকেটের পেছনে জেমস ব্রেসির হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং ফেরেন বোল্ড হয়ে, বল তার ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। তবে মার্ক উডকে দুই চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পাওয়া টম ল্যাথাম। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দুই ইনিংসে তিনটি করে মোট ৬ উইকেট নেন দলে ফেরা ম্যাট হেনরি। নিউজিল্যান্ড এই পেসারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তবে যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে কিউই ওপেনার কনওয়ে ও ইংলিশ ওপেনার ররি বার্নসের হাতে।
এই হারের আগে ইংল্যান্ড দল উড়ছিল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে লঙ্কানদের ধবলধোলাই করে ভারতে গিয়েছিল ইংলিশরা। ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। অস্ট্রেলিয়া সফর করে আসা আত্মবিশ্বাসী ভারতীয়দের চেন্নাইয়ে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এর পরের ম্যাচদুটি হেরে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে থাকতে হচ্ছে অতিথি হয়ে। সেই কাঁটা ঘাঁয়ে নুনেন ছিঁটা হয়ে এলো সাত বছর পর ঘরের মাঠে এই সিরিজ হার। আর তাতে নিজেদের মাটিতে না হারার রেকর্ডটা ১৪-তেই আটকা পড়ল ইংল্যান্ডের। চেনা আঙিনায় সবশেষ ইংল্যান্ডকে হারাতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালের সে সিরিজও ছিল দুই ম্যাচের।
আর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে সবশেষ দুই টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের এটি টানা তৃতীয় সিরিজ জয়। আগের দুটি তারা জিতেছিল ঘরের মাঠে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আগামী শুক্রবারই সাউদাম্পটনে ভারতের মোকাবেলা করবে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক ইংলিশদের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয় নিঃসন্দেহে দারুণ আত্মবিশ্বাস দিবে কিউইদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৩০৩ ও ২য় ইনিংস : ১২২ (স্টোনস ১৫; অ্যান্ডারসন ০*; হেনরি ৩/৩৬, বোল্ট ২/৩৪, ওয়েঙ্গার ৩/১৮, আজাজ ২/২৫)। নিউজিল্যান্ড : ৩৮৮ ও ২য় ইনিংস : ৪১/২ (লাথাম ২৩*, কনওয়ে ৩, ইয়ং ৮, টেইলর ০*; অ্যান্ডারসন ০/১১, ব্রড ১/১৩, স্টোনস ১/৫, উড ০/৮)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী। সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ম্যাট হেনরি। ম্যান অব দ্য সিরিজ : ডেভন কনওয়ে ও ররি বার্নস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।