নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের। সুযোগ ছিল আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে আরও ১০টি পয়েন্ট হাতিয়ে নেওয়ার। তবে দু’টি লক্ষ্যের একটিও পূরণ হয়নি। বরং হঠাৎ বদলে যাওয়া লঙ্কানরা নিজেদের দু’টি লক্ষ্য অর্জণ করল। এক, হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বেঁচে যাওয়া। দুই, সুপার লিগে মাইনাস পয়েন্টে থাকা দলটি এখন প্লাসে।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমবারের মতো টসে জিতলেন সফরকারি অধিনায়ক কুশল পেরেরা। হোম অব ক্রিকেটে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি লঙ্কান দলপতি। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডারদের বদান্যতায় তিন তিনবার জীবন পেয়ে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম আর নিজের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা। এছাড়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অর্ধশত রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে তারা। জবাবে ১৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৯৭ রানের বড় ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়লেও প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ট্রফি নিজেদের ঝুলিতেই রেখে দেয় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় তামিম ইকবালের দল। সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নাইম খেলতে পারলেন মোটে ২ বল। ব্যাক্তিগত ১ রানেই ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে আশা ভরসার জলাঞ্জলি দিয়ে তিনিও ৪ রানে ফেরেন। প্রথম দুই ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমও (২৮) খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। মোসাদ্দেক হোসেন (৫১) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫৩) ফিফটি করলেও তা শুধু কমিয়েছে হারের ব্যবধানই। একাই স্বাগতিকদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছেন দুসমান্থা চামিরা। তিনি প্রথম তিন উইকেট সহ মোট নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এরআগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুনাথিলিকা ও পেরেরা শুরুতেই শরিফুল-মিরাজদের উপর চড়াও হন। তাদের জুটি ভঙে দলীয় ৮২ রানে। একই ওভারে তাসকিন তুলে নেন নিশাঙ্কাকেও (০)। কিন্তু এরপর অধিনায়কের সঙ্গে মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দৃঢ়তা দেখান। ১২০ রানে শরিফুলের শিকারে পরিণত হলেও পেরেরা দলকে রেখে যান সম্মানজনক অবস্থানে। এরপর সিলভার হাফ সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া শরিফুল নিয়েছেন একটি উইকেট। আর একটি রান আউট। প্রথমে বলহাতে এরপর ব্যাটহাতেও মিরাজ-সাকিবরা নিষ্প্রভ থাকায় হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (গুনাথিলাকা ৩৯, পেরেরা ১২০, নিসানকা ০, মেন্ডিস ২২, ধনাঞ্জয়া ৫৫*, ডিকভেলা ৭, হাসারাঙ্গা ৬, রমেশ ৮*; শরিফুল ১/৫৬, মিরাজ ০/৪৮, মোসাদ্দেক ০/৩২, তাসকিন ৪/৪৬, মুস্তাফিজ ০/৪৭, সাকিব ০/৪৮)।
বাংলাদেশ : ৪২.৩ ওভারে ১৮৯ (লক্ষ্য ২৮৭) (তামিম ১৭, নাইম ১, সাকিব ৪, মুশফিক ২৮, মোসাদ্দেক ৫১, মাহমুদউল্লাহ ৫৩, আফিফ ১৬, মিরাজ ০, তাসকিন ০, শরিফুল ৮, মুস্তাফিজ ০*; ধনাঞ্জয়া ০/১৪, চামিরা ৫/১৬, ফার্নেন্দো ১/৩৩, করুণারতেœ ০/৩৪, হাসারাঙ্গা ২/৪৭, মেন্ডিস ২/৪০)।
ফল : শ্রীলঙ্কা ৯৭ রানে জয়ী। সিরিজ : বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : দুসমান্থা চামিরা। সিরিজসেরা : মুশফিকুর রহিম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।