নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা শিবিরে করোনাভাইরাসের হানা। শঙ্কায় পড়ে যাওয়া তিন ম্যাচের সিরিজটি যদিও মাঠে গড়ালো। প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিতলোও। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের দলের জয়টি ৩৩ রানের। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম, মুশফিককুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ (৪টি), সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান (৩টি) আর সাইফউদ্দিনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। তবে হুমকি থেকে গেল একই ভেন্যুতে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের বাকি দুই ম্যাচ নিয়ে। একে-তো জৈব সুরক্ষা বল ভেদ করে করোনা প্রবেশ, সেই সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আপাতত সেই হিসেব সময়ের শিকেয় তুলে চলুন এই ম্যাচের প্রাপ্তি আর আক্ষেপ ঘুরে আসি হোম অব ক্রিকেট থেকে।
মন্থরতম পাওয়ারপ্লে
২০১৯ বিশ্বকাপের পর খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের ১৩তম ম্যাচ। খুব কম ম্যাচ হলেও গত ১২ ম্যাচের পরিসংখ্যানের ছাপ গতকালও দেখা গেছে। পাওয়ারপ্লেতে অন্য দলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম রান রেটে রান তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশের রান রেট মাত্র ৪.১৬। গতকাল যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে বাংলাদেশ নিয়েছে ৪০ রান। অর্থাৎ গড়ের চেয়েও ধীরগতিতে রান তুলেছে দল। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে পাওয়ারপ্লেতে দ্রæত রান তোলার দায়িত্বটা মূলত লিটনেরই। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ৪০ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টায় খেলেন। শুরুতে সময় নিয়ে মাঝের ওভারে রানের গতি বাড়ান স্পিনারের বিপক্ষে চড়াও হয়ে। লিটন ক্রিজে থাকলে হয়তো পাওয়ারপ্লে রানটা ৪০-এর জায়গায় হতো ৫০। তবু বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লে ব্যাটিংয়ে বাকিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে।
শূন্যের সপ্তমে লিটন
যার কারণে পাওয়ার প্লেতে মন্থরতম দলের ট্যাগ লেগেছে বাংলাদেশের গায়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও সেই লিটনের উপর আস্থা রেখেছিলেন টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে সেই আস্থার প্রতিদান এবারও দিতে পারলেন না লিটন দাস। আগের ৬ ওয়ানডেতে ব্যর্থ এই ওপেনার এদিন ফেরেন তিন বল খেলে শূন্য রানে। ৪৩ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি সপ্তম শ‚ন্য, সবশেষ সাত ইনিংসে তৃতীয়।
দলের হয়ে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন দুশমন্থ চামিরা। বলটা এমন আহামরি কিছু ছিল না। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ বল, সøটেই পেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু একটু আউট সুইং করা বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি তিনি। প্রথম স্লিপে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ওথচ সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন তিনে ফেরা সাকিব। আগের ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারিতে রানের দেখা পান তামিমও। কিন্তু লিটন যেন বন্দী হয়েই ছিলেন নিজের খোলসে। ম্যাচের ফাঁকেই ওপেনিংয়ে খেলার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও। তাকে ৫-৬ নম্বরে নামিয়ে খেলাতে চান বোর্ড প্রধান!
১৪ হাজারী তামিম
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জমে গিয়েছিল জুটি। আগের ওভারে ফিফটি পেয়েছিলেন তামিম, জুটি ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। বাড়তে শুরু করেছিল রানের গতি। এমন সময়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তামিম। পরের বলে প্যাডল সুইপের চেষ্টায় এলবিডব্লু হন মোহাম্মদ মিঠুনও। পরপর দুই বলে দুটি উইকেটের সঙ্গে বাংলাদেশ হারায় দুটি রিভিউ।
ধনাঞ্জয়ার বলের লাইন বুঝতে পারেননি তামিম। ইয়র্কার লেংথের বল তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে পায়ের নিচের দিকে। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি, ৭০ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে তার আগে একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশম ওপেনার হিসেবে ছুঁয়েছেন ১৪ হাজার রানের কীর্তি।
তার আগে এই টালিতে থাকা নামগুলো দেখলে তামিমের কীর্তিতে যে কারো ইর্ষা জাগতে বাধ্য। সনথ জয়সুরিয়া, গ্রায়েম স্মিথ, ডেজমন্ড হেইন্স, বিরেন্দ্র শেবাগ, শচিন টেন্ডুলকার, অ্যালিস্টার কুক, ম্যাথু হেইডেনের মতো কিংবদন্তিরা। এখনও খেলে যাচ্ছেন তাদের মাঝে আছেন কেবল ক্রিস গেইল আর ডেভিড ওয়ার্নার।
ব্যাটিংয়ে হাঁসফাঁস সাকিব
প্রায় চার মাস ধরে জাতীয় দলের বাইরে। সবশেষ খেলেছিলেন দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। উল্টো চট্টগ্রামে চোটে পড়ে খেলা হলো না মিরপুরের দ্বিতীয় টেস্টটা। এরপর সন্তানের জন্মক্ষণে স্ত্রীর পাশে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে, তাই যাওয়া হলো না নিউজিল্যান্ড সফরে। এক বুক আশা নিয়ে আইপিএল খেলতে গিয়েছিলেন ভারতে। সেটিও স্থগিত মাঝপথে। ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে দেশে ফিরে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন, একাকী হোটেলবন্দি ঈদ শেষ ফিরেছেন দলে। এই চক্রব্যুহে পড়েই কিনা উইকেটে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়েও ছন্দ পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ধুঁকছিলেন রান বের করতে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলে তিনি বিলিয়ে এলেন উইকেট। ১৩তম ওভারের সেটি প্রথম বল। দানুশকা গুনাথিলাকার ফ্লাইটেড বলটিতে বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বলের কাছে যেতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় লং অনে পাথুম নিসানকার হাতে। সাকিবের অস্বস্তিময় ইনিংস শেষ ৩৪ বলে ১৫ রান করে। থামে তামিমের সঙ্গে তার ৬৪ বলে ৩৮ রানের জুটি।
মুশফিকের একটুর আক্ষেপ
৪০ ছোঁয়ার পর যেন খোলসে ঢুকে গিয়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। হুট করেই ভুলে গেলেন রান বের করতে। দারুণ গতিতে ছুটতে থাকা দলের ইনিংসও গেল কিছুটা থমকে। মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ইনিংস ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে শতরানের জুটির পরও তাই রয়ে গেল রান প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ার আক্ষেপ।
দলের ইনিংসে মেরুদন্ড মুশফিকের ৮৪ রানের ইনিংস। শট খেলা সহজ নয়, এমন উইকেটেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে সমস্যা হয়নি তার। ৮৭ বলের ইনিংসে চার কেবল ৪টি, ছক্কা ১টি। দারুণ ব্যাটসম্যানশিপের প্রদর্শনী মেলে ধরে দ্রæত রান তোলেন তিনি। তবে মিরপুরের মন্থর উইকেটে এই স্কোর ছিল লড়াই করার মতোই। তবে রান বেশি হতে পারত আরও। ৪০ ওভার শেষে দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৯৩। সেখান থেকে ২৭০ ছাড়িয়ে যাওয়া ছিল খুবই সম্ভব। কিন্তু পরের ৮ ওভারে রান আসে কেবল ৪০! শেষ দুই ওভারে ২৪ রান নিয়ে আড়াইশ ছাড়াতে পারে দল।
বিধ্বংসী ডেথ ওভার
বাংলাদেশ প্রথম দশ ওভারের মন্থর ব্যাটিংটা পুষিয়ে দেয় শেষ দশ ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে যেমন ডেথ ওভারে বাংলাদেশের রান রেট ৮.৯১। শেষ দশ ওভারের ব্যাটিংয়ে বাকি সব দলের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ভারত যেমন ওভার প্রতি ৮.৭৩ রান করে তোলে ডেথ ওভারে। আটের বেশি রান রেট আছে নিউজিল্যান্ড (৮.৭১) ও পাকিস্তানের (৮.২৪)। এদিন যদিও শেষ দশ ওভারে ৬৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান অবশ্য ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের চেয়ে দ্রæতই রান তোলে। এই তিন দলেরই পাওয়ারপ্লে রান রেট সাড়ে পাঁচের আশপাশে। প্রথম দশ ওভারের সাড়ে পাঁচ থেকে শেষ দশ ওভারে সাড়ে আটে লাফ দেওয়া মানে এই দলগুলো ধারাবাহিকভাবে সাধারণত বড় রানই করে।
বাংলাদেশের গল্পটা ভিন্ন। শুরুতে একটু বেশিই মন্থর ব্যাটিং করায় শেষের প্রায় ৯ রান রেটও বেশ অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আদর্শ হচ্ছে ইংল্যান্ড। আদর্শ ওয়ানডে ব্যাটিংয়ে ভবিষ্যৎটা ইংল্যান্ডই দেখিয়ে আসছে গত পাঁচ বছর ধরে। তাদের ইনিংসের শুরুটাই হয় ওভারপ্রতি ৬ রান করে এবং ইনিংসজুড়ে রান রেট ৬-এর নিচে নামেই না। ডেথ ওভারে দিয়ে সেই রান রেট গিয়ে ঠেকে ওভার প্রতি ৭.০৯ রানে।
সাকিবের ১০০০ উইকেট
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ৯৯৯ উইকেট নিয়ে গতকাল খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। বোলিং আক্রমণে এলেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে। সে ওভারে না হলেও ১০০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না তাকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে বিদায় করে দারুণ এক কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।
যে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি সফল সাকিব, সেই প্রিয় ভেন্যুতেই মাইলফলক ছুঁয়ে আরও এক দফা নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার উইকেট পাওয়ার নজির গড়েন তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের (১১৪৫ উইকেট)।
প্রতিযোগিতাম‚লক ক্রিকেটে (প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সাকিবের ১০০০তম শিকার মেন্ডিস। ড্রাইভ করতে গিয়ে গড়বড় করে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সংগ্রহ ৩৬ বলে ২৪ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তিনি সাকিবের ৩২৮তম শিকার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই বাঁহাতি ঘ‚র্ণি বোলারের উইকেট ৩৬২টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তিনি দখল করেছেন ৩১০ উইকেট।
সুপার লিগে উচ্চলম্ফ
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশড করে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে হয় উল্টো অভিজ্ঞতা। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে দলটি। সিরিজে দুটি জয় দলকে নিয়ে যাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তার একটি জিতে কাজটা এগিয়ে রাখল তামিম ইকবালের দল। সুপার লিগে এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি শ্রীলঙ্কা। উল্টো মন্থর ওভার রেটের জন্য হারিয়েছে দুই পয়েন্ট। সেই খরা কাটাতে ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলের চেহারা আমূল পাল্টে ফেলেছে ১৯৯৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসের নেতৃত্বে তারুণ্য নির্ভর একটি দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে তারা। দেখা যাক চাপে থাকা এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ নিজেদের ঝুলি পূর্ণ করতে পারে কি-না!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৭/৬ (তামিম ৫২, লিটন ০, সাকিব ১৫, মুশফিক ৮৪, মিঠুন ১, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফ ১৩*; উদানা ০/৬৪, চামিরা ১/৩৯, ধনাঞ্জয়া ৩/৪৫, গুনাথিলাকা ১/৫, হাসারাঙ্গা ০/৪৮, সান্দাকান ১/৫৫)। শ্রীলঙ্কা : ৪৮.১ ওভারে ২২৪ (গুনাতিলিকা ২১, কুশল পেরেরা ৩০, নিসাঙ্কা ৮, কুশল মেন্ডিস ২৪, ধনাঞ্জয়া ৯, বান্ডারা ৩, শানাকা ১৪, হাসারাঙ্গা ৭৪, উদানা ২১, সান্দাকান ৮*, চামিরা ৫; মিরাজ ৪/৩০, তাসকিন ০/৬২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, সাইফউদ্দিন ২/৪৯, সাকিব ১/৪৪, মাহমুদউল্লাহ ০/১)। ফল : বাংলাদেশ ৩৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম। সিরিজ : ৩ ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।