নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক বিতর্কের পর এবার আইপিএলে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে টেস্ট না খেলে তিনি খেলতে চলে যান ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। বিসিবি থেকে নেন ছুটি এবং বিতর্ক হয়েছে সেই ছুটি নিয়েও। এত বিতর্কের জবাবে সাকিব অবশ্য বলেছিলেন, ভারতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই আইপিএলে খেলাটা জরুরি মনে করেছেন তিনি। কিন্তু করোনার ছোবল সেই আইপিএলকেই থামিয়ে দিয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এমনকি করোনা হানা দিয়েছে খোদ সাকিবের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইটরাইডার্সেও! তা ছাড়া দলের হয়ে সব ম্যাচে সুযোগও পাননি সাকিব। খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ।
ব্যাট হাতে ৩৮ রান, বল হাতে ২ উইকেট- এই হলো এবারের আইপিএল থেকে তার অর্জন। সাকিবের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির পরিকল্পনা কি তবে মাঠে মারা গেল! এ নিয়ে গত দুই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম ট্রল হচ্ছে না। এর আগে যখন সাকিব ম্যাচের বাইরে ছিলেন, দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে সতীর্থদের জন্য পানি-টাওয়েল টেনে নিয়েছেন মাঠে, সেসব ছবি দিয়েও হয়েছে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ। এসব নজর এড়ায়নি সাকিবেরও। তবে তা নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই তার। কারণ সাকিব মনে করেন, আইপিএল থেকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি যা নেওয়ার, তা এরই মধ্যে নেওয়া হয়ে গেছে তার।
গতকাল মুঠোফোনে ভারতের আহমেদাবাদ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে এই তিন ম্যাচ খেলে এবং এই কদিন দলের সঙ্গে থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তার যথেষ্ট প্রস্তুতি হয়ে গেছে, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য আমার কী কী দরকার, সে ধারণা মোটামুটি এই কদিনেই হয়ে গেছে। কাজেই প্রস্তুতি আমার অবশ্যই হয়েছে। আইপিএল স্থগিত হয়ে গেলেও প্রায় অর্ধেক টুর্নামেন্টই তো শেষ। আমার যা যা জানা, বোঝার দরকার ছিল তা এই কদিনেই হয়ে গেছে।’
কিন্তু মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই তা কী করে সম্ভব! আর এমনও তো নয় যে ওই ম্যাচগুলোতে খুব ভালো খেলেছেন তিনি! সাকিব দাবিটা খন্ডালেন যুক্তি দিয়েই, ‘ম্যাচ হয়তো কম খেলেছি, তবে অনুশীলন করে এবং এখানে থেকেও অনেক কিছু ধারণা করা সম্ভব। আমি এখন জানি, ভারতে যদি বিশ্বকাপটা শেষ পর্যন্ত হয়, কোন কোন জায়গায় আমার কাজ করতে হবে, কোন কোন জায়গায় আমার আরও উন্নতি করা দরকার। এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা হয়ে গেছে।’
সাকিবের কথার মধ্যেই ইঙ্গিত, অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা সরেও যেতে পারে ভারত থেকে। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে আইপিএলই হতে পারল না, বিশ্বকাপ তো শঙ্কার মধ্যে পড়বেই। আইসিসিও এরই মধ্যে বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সে ক্ষেত্রে ওই তিন ম্যাচে ব্যাট-বল হাতে সামান্য যে প্রস্তুতি, সেটিই ভরসা হবে সাকিবের। অবশ্য মাঠে নিজের এই পারফরম্যান্সে তৃপ্ত নন তিনিও, ‘আমি আরও ভালো কিছুই আশা করেছিলাম। কিন্তু এখানে কন্ডিশন একটু ভিন্ন ছিল। আমার আরও ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। ভালো খেলতে পারলে তো আমারও ভালো লাগত।’
টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিদেশি ক্রিকেটারদের বিশেষ ব্যবস্থায় যাঁর যাঁর দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে বিসিসিআই ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সাকিব-মুস্তাফিজেরও দেশে ফেরার কথা দু-এক দিনের মধ্যে। তবে দেশে ফিরে তাঁদের থাকতে হবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।