নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাল্লেকেলের ড্র টেস্টে অনেকেই অনেক প্রাপ্তি দেখছেন। টেস্ট ক্রিকেটে গত কিছুদিন বাংলাদেশ দল খারাপ সময় কাটানোর পর এই ড্রটাকে মনে করা হচ্ছে নতুন করে শুরু। তবে প্রথম টেস্টের ফলকে বড় অর্জন হিসেবে দেখতে চান না রাসেল ডমিঙ্গো। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের এই মানসিকতার পরিবর্তন চান জাতীয় দলের প্রধান কোচ। তার কাছে বড় অর্জনের অর্থ টেস্ট জয় আর টেস্ট সিরিজ জয়। সেটি হতে পারে আজ পাল্লেকেলেতেই শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে। বড় অর্জনের চিন্তা মাথায় নিয়েই টেস্টটা খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে প্রদর্শনীতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। আর তাতেই শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে থাকা টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন আত্মতুষ্টি নিয়ে আগের দিন বলেছিলেন, ‘দল আপাতত ড্রর মানসিকতা তৈরী হোক।’ দুই দশক পেরুনো একটি টেস্ট খেলুড়ে দলের এই মানসিকতাই পছন্দ নয় ডমিঙ্গোর। আরেকটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে প্রথম টেস্টটেও জয়ের ছকও আঁকতে পারতো মুমিনুল হকের দল। তাইতো দ্বিতীয় টেস্টের আগের সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ডমিঙ্গো জোর দিয়েছেন সেই মানসিকতা বদলের দিকেই, ‘ড্র টেস্টকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখাটা হতাশাজনক। আমি এখানে টেস্ট ড্র করতে আসিনি। আমরা টেস্ট হারতে চাই না, কিন্তু আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। আমাদের জেতার জন্য খেলতে হবে। ড্রতে খুশি হলে চলবে না। আমি ছয়-সাতটা টেস্টে দলের সঙ্গে আছি। আমার মনে হয়, আমি দলের সংস্কৃতিটা এখন বুঝি। আমি জানি কোথায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটের মানসিকতার জায়গাটায় উন্নতি দরকার।’
গড়পড়তা একটা দলের কোচ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চান না ডমিঙ্গো। তিনি এমন একটা দলের কোচ থাকতে চান, যে দলটা জেতার জন্য খেলবে। ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘এখনো অনেক দ‚র যাওয়া বাকি। এখানো আমাদের মধ্যে টেস্ট হারার ভয় কাজ করে। এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের জেতার জন্য খেলতে হবে।মানসিকতায় এই পরিবর্তন আনতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা যদি মানসিকতা না বদলাই, তাহলে সবসময়ই গড়পড়তা ফলাফলে খুশি থাকতে হবে। আমি এমন কিছুর অংশ হতে চাই না।’ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ তাহলে কি চান? বললেন, ‘আমি দলটাকে সামনে নিয়ে যেতে চাই, যেন তারা জেতার জন্য খেলে। আমরা কঠিন কন্ডিশনে আগে ব্যাট করতে চাই, ইনিংস ঘোষণা করতে চাই যেন প্রতিপক্ষকে আউট করার সময় থাকে। ভালো টেস্ট জাতি হতে চাইলে এসব পরিবর্তন আনতে হবে।’
প্রথম টেস্টটা ড্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কাল থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্টটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ-নির্ধারণী। কাজটা যত কঠিনই হোক, এই টেস্টে জয়েই চোখ থাকবে ডমিঙ্গোর, ‘আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করতে চাই। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারলে সেটা বড় অর্জন হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জেতার লক্ষ্য আছে আমাদের। তার জন্য আমাদের পাঁচটা দিনই ভালো খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাঠে হারানো কঠিন। তারপরও আমাদের মনোযোগ ম্যাচটা ভালোভাবে শুরু করা। এরপর সেশন ধরে ধরে খেলা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।