Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড্র’র অভ্যেসটা গড়ে উঠুক বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

হারের বলয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য সঞ্জীবনী সুধা হয়ে এসেছে পাল্লেকেলে টেস্টের ড্র। আঁধারে যে আলোর রেখা মিলেছে, সেটি অনুসরণ করেই দলকে এগিয়ে যেতে বলছেন খালেদ মাহমুদ। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের টিম লিডারের চাওয়া, আপাতত ধারাবাহিকভাবে ড্র করাটা শিখুক দল। ড্রয়ের পথ ধরেই একসময় মিলবে জয়ের পথ।
জয় তো বহুদ‚র, টেস্ট ড্র করাটাও বাংলাদেশের জন্য বেশির ভাগ সময় হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য। সা¤প্রতিক সময়ে দলের যা পারফরম্যান্স ছিল, তাতে একটি ড্র হয়ে উঠেছিল বহু আরাধ্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলের ব্যাটিং স্বর্গে অবশেষে তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১২২ টেস্টে এটি বাংলাদেশের কেবল ১৭তম ড্র। জয় মাত্র ১৪টি। বাকি ৯১ ম্যাচেই পেতে হয়েছে পরাজয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাইরে টানা ৯ টেস্ট হারের পর পাল্লেকেলেতে ড্র করতে পারল বাংলাদেশ। এখান থেকেই এই দলের নতুন শুরু দেখতে চান খালেদ মাহমুদ, ‘আমরা যদি এভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারি, প্রায় একটা বছর যদি আমরা ড্র করতে পারি এরকম, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা ওপর থেকে দায়িত্ব নিতে পারে, একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখব। ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জেতা শিখব। ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য জরুরি।’
ধারাবাহিকতাই অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পাল্লেকেলে টেস্টের আগ পর্যন্ত দেশের বাইরে ১৭ ইনিংসে কেবল একবার আড়াইশ ছাড়াতে পারে তারা। পাল্লেকেলে টেস্টের পারফরম্যান্সে মিলেছে উন্নতির আভাস। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দল। তবে ¯্রফে একটি ভালো ইনিংস দেখে তৃপ্তির অবকাশ দেখছেন না মাহমুদ, ‘এক ইনিংস দেখে এত ম‚ল্যায়ন করাটা ঠিক হবে না। আমি বিশ্বাস করি যে, ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব। ছেলেরা এখান থেকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলবে। আগামী ম্যাচ আছে এখানে, সামনে জিম্বাবুয়ে যাব আমরা (জুন মাসে), আমরা যেন উপযুক্ত টেস্ট দল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি। এই ছেলেরা যেন গড়ে উঠতে পারে।’
পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের উইকেট ছিল একদম নিষ্প্রাণ। বোলারদের জন্য কোন সহায়তা না থাকা উইকেটে ম্যাচ হয়েছে ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র। তবে একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটে ভিন্নতা দেখা যাবে বলে মনে করছেন সুজন। ম্যাচের পরদিন বাংলাদেশ দল ছিল বিশ্রামে। গতকাল অনুশীলনও সেরেছে তামিম-মুশফিকরা। সেখান থেকে ফিরে বাংরাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানান, প্রথম টেস্টের উইকেট নিয়ে স্বাগতিক দলও ছিল নাখোশ। তাই পরের টেস্টে নিশ্চিতভাবে বদলে যাবে পরিস্থিতি, ‘হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি এই ম্যাচের উইকেট একদম ফ্ল্যাট ছিল। যেখানে এই কন্ডিশনে, এই উইকেটে টেস্ট ম্যাচের ফল হওয়া খুবই কঠিন আসলে। তবে আমি মনে করি এরপরে আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে।’
কেমন উইকেট হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে না পারলেও উইকেট যে ফলদায়ক হবে তা বুঝেছেন সুজন, ‘সেটা এখনই বলা যাবেনা উইকেট না দেখে। কালকে আমরা মাঠে যাবো আশা করি, সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। হয়তো স্পিন উইকেট হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ফ্ল্যাট উইকেট হবে না বলে আমি মনে করি। কারণ শ্রীলঙ্কা দলও হয়তো পছন্দ করেনি এই উইকেটকে। পুরো পাঁচদিন শেষে আমরা দেখলাম মাত্র ২০ টা উইকেটের মত পড়েছে। আমি বলবো যে টেস্ট ক্রিকেটে রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড উইকেট এটা না। আমরা আশা করছি পরের ম্যাচে এর থেকে ভালো উইকেট পাবো।’
আগামীকাল থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ