Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তাসকিনে মুগ্ধ মুমিনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৫ এএম

স রিপোর্টার
দেশের মাঠে জয় পেলেও দেশের বাইরে টানা হারতে থাকা দলটির আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। সবশেষ দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও হারের পর এই সিরিজটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল মান বাঁচানোর। এ যখন অবস্থা, তখন দেশের বাইরে গিয়ে ম্যাচ ড্র করল বাংলাদেশ দল। এতে স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্ত টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অমীমাংসিত ম্যাচে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে খুশি তিনি।
এছাড়া তাসকিন আহমেদের নৈপুণ্যে দারুণ উচ্ছ¡সিত মুমিনুল। বিরূপ কন্ডিশনেও দারুণ বল করে আলো কেড়েছেন এই ডানহাতি। পাল্লেকেলেতে বল হাতে নেওয়ার আগে তাসকিন আহমেদ সর্বশেষ টেস্ট খেলছিলেন তিন বছর আগে। তখনই টেস্টে ছিলেন নতুন। চোট, ফর্মহীনতা মিলিয়ে ৫ টেস্টেই আটকে ছিল ক্যারিয়ার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে ৬ষ্ঠ টেস্ট খেললেন এমন এক উইকেটে, যেখানে বোলারদের জন্য নেই তেমন কিছু।

ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গোদ্যানে বাকিদের বিবর্ণ দশার মাঝে তাসকিনকে দেখা গেছে বারবার প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে। ভালো লাইন-লেন্থ আর দারুণ গতিতে উইকেট নেওয়ার কাছেও গেছেন কয়েকবার। ফিটনেসের সর্বোচ্চ দেখিয়ে বল করেছেন ৩০ ওভার। তাতে ১১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তার। ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখেও দমে যাননি, ধৈর্য ধরে টানা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তিনি। উইকেটে সহায়তা থাকলে তাসকিনের উইকেট সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি হতে পারত।

গতকাল ম্যাচ ড্রয়ের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘তার মনেই হয়নি তাসকিন কেবল ৬ষ্ঠ টেস্টে নেমেছেন, ‘আমি তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। ওর বোলিং দেখে মনে হচ্ছে না...আপনারা জানেন কিনা জানিনা এই টেস্ট নিয়ে ও মাত্র ৬টা টেস্ট খেলেছে। তো কোনভাবেই মনে হয়নি ৬টা টেস্ট ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।’

চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই পেসার। ফিটনেসের দিক থেকে খেটে নিজেকে এনেছেন সেরা জায়গায়। মুমিনুল মনে করেন কষ্টের ফল পাচ্ছেন তাসকিন, ‘গত এক দেড় বছর থেকে অনেক চেষ্টা করছে, অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। সত্যি কথা বলতে ও অনেক এফোর্ট দিয়েছে। যখন দলের দরকার তখন এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে।’

প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল দ্রæতগতিতে করেন ৯০, নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট থেকে আসে ১৬৩ রান, অধিনায়ক মুমিনুল নিজে করেন ১২৭। ফিফটি পান মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসও। সব মিলিয়ে সবার অবদান থাকাকে ইতিবাচক দিক মনে করেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক, ‘ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলেন আমাদের টোন সেট করে দিয়েছে তামিম ভাই। উনার ৯০ রানের ইনিংসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর শান্ত আউটস্টান্ডিং ব্যাট করেছে। আমি সবচেয়ে বেশি খুশি যে দল হিসেবে সবাই ভাল করেছে, দলীয় পারফরম্যান্স ছিল। লিটন, মুশফিক ভাই সবাই।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ