Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এগিয়ে যাওয়ার মিশন পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানের দারুণ জয়। এরপর জোহান্সবার্গে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয়। সবমিলিয়ে প্রধান কোচ মিসবাহ উল হকের অধীনে দারুণ সময় কাটাচ্ছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা। এ ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার, বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সমতা ফেরানোর লড়াই।

গত ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়েই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরি পূর্ণ করা পাকিস্তান স্বস্তিতেই আছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দল হিসেবে জয়ের সেঞ্চুরি (সুপার ওভার ছাড়া) পূর্ণ করা ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নদের এই অর্জন ছুঁতে ১৬৪টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। তাদের জয় ৮৮টি। এছাড়া সমান ৭১টি করে জয় আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। পঞ্চাশটির অধিক জয় আছে শ্রীলঙ্কা (৬০), আফগানিস্তান (৫৮) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৫৬)। এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের জয় ৩২টি।

এছাড়াও জোহান্সবার্গের মাঠের দিকে তাকালে পাকিস্তান পেরেত পারে প্রথম জয়ের আনন্দ। এ জয়ের আগে জোহান্সবার্গে তিনটি ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান। তবে জয়হীনই ছিল দলটি। গত ম্যাচে জয়ের পর কাটলো এই পিচে হারের ধাঁধাঁ।

পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ বুলালে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির জায়গায় খুব একটা পার্থক্য করার অবকাশ নেই। এখন পর্যন্ত দু’দলের মুখোমুখি লড়াই হয়েছে ১৯ বার। দু’দলেরই জয় সমান ৯টি করে ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। অন্যদিকে এই ফরম্যাচে যেকোন ভেন্যুতে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে চারটিতেই জয় নিয়ে প্রোটিয়াদের চিন্তা বাড়াচ্ছে বাবরের দল।

জয়ের সেঞ্চুরি ছোঁয়ার দিনে আরো একটি রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারারেতে ১৮৩ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। এসবই ২য় ম্যাচের আগে মনবল বাড়াবে সফরকারিদের।

তবে সামনে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা আঁটছেন পাকিস্তান কোচ, ‘যেহেতু ভারতের মাটিতে আমাদের দু’টি বিশ্বকাপ (২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ) খেলতে হবে, তাই ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিনেও নজর দিতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্পিনে উন্নতি করছে। কিন্তু বোলারদেরও প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে হবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ