নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসির আইনের ৪১.৫ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট কোনও ব্যাটসম্যানকে শব্দ দ্বারা প্রভাবিত করা কিংবা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্ত করা অথবা ব্যাটসম্যানকে রান নিতে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আটকাতে গেলে ব্যাটসম্যান আউট তো হবেনই না, উল্টো ৫ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে ফিল্ডিং দলকে। অথচ সে নিয়মের তোয়াক্কা করলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক।
এইডেন মার্করামের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান। দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। তবে ১৯৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে। ফাখার প্রোটিয়া ফিল্ডার মার্করামের থ্রোতে আউট হলেও তাতে অবদান ছিল ডি ককের। কারণ, ফখরকে বিভ্রান্ত করেন তিনি। এ ঘটনার পর প্রশ্নবিন্ধ ডি কক। আঙুল উঠেছে ম্যাচ অফিশিয়ালদের দিকেও।
‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা তো আর এমনিতেই পায়নি পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় হারের মুখে থাকা পাকিস্তান হঠাৎ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছিলেন ফখর জামান। অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি ডাবল সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থামে ৩২৪ রানে। ১৭ রানে প্রোটিয়াদের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা। বুধবারের শেষ ওয়ানডে তাই অঘোষিত ‘ফাইনালে’ পরিণত।
বীরত্বগাঁথা ১৫৫ বলে ১৯৩ রানের ইনিংসটি ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে না পারার আক্ষেপ হয়তো রয়েছে ফখরের।
দল হারলেও ম্যাচসেরা হওয়া ইনিংসটি বিশ্বরেকর্ডের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। রান তাড়ায় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি এখন তার। ফখর টপকে গেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের করা অপরাজিত ১৮৫ রান।
জোহানেসবার্গে রোববার রান পাহাড় টপকাতে গিয়ে ইনিংসের মাঝপথেই বড় হারের ক্ষণ গুনছিল পাকিস্তান। ২৫ ওভারে সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে রান ৫ উইকেটে ১২১। পাকিস্তানিদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমাটা বেরিয়ে এলো এরপরই। ওপেনার ফখর জামান একপ্রান্তে অবিচল। ছক্কা হাঁকিয়ে ৭০ বলে ফিফটিতে পৌঁছান। ৩৪তম ওভারে আসিফ আলী ১৯ রানে ফিরলে আরো চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারালেও দমে যাননি ফখর। ফাহিম আশরাফ (১১ রান) ফিরলে ২০৫ রানে ৭ উইকেট খোয়ায় সফরকারীরা। ফখর জামান ১০৭ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। পাকিস্তানি ওপেনার আগের ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেন ৫৬ রান। ছন্দে ফেরার ম্যাচে অসাধ্য সাধন প্রায় করেই ফেলেছিলেন। ৪৩ ওভারে ১২৮ বলে ১৫০ রানে পা রাখেন। তাবরিজ শামসিকে ওই ওভারের প্রথম তিন বলে ৩ ছক্কা হাঁকান ফখর। জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। আর ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁতে ফখরের প্রয়োজন ৮ রান। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ‘ট্র্যাজেডি’। প্রথম রানটা নিতে পারলেও দ্বিতীয় রান আর সম্পন্ন হয়নি। ফখর ফিরলেন রান আউটে কাটা পড়ে। ওয়ানডেতে তার একটা ডাবল সেঞ্চুরি অবশ্য রয়েছে। ২০১৮ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ২১০ রান।
এর আগে দা ওয়ান্ডারার্সে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফেরেন ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। ৯২ রানে হারিস রউফের শিকার বাভুমা। কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। ভ্যান ডার ডুসেন (৩৭ বলে ৬০) ও ডেভিড মিলারের (২৭ বলে ৫০*) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪১/৬ রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।