নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিতর্ক তার পিছুই ছাড়ছিল না। বিয়ে করলেন, সেটাতেও বিতর্ক। রীতিমতো ঝড়ের মধ্য দিয়েই গেলেন তিনি আর তার স্ত্রী। মাঠের সেই চিরচেনা নাসির হোসেন যখন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অচেনা, নাসির নিজেও যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন প্রতিনিয়ত, ঠিক তখনই জাতীয় ক্রিকেট দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া এই তারকা ব্যাট হাতে নিজেকে ফিরে পেলেন।
সবার সামনে প্রমাণ করে দিলেন, তিনি হারিয়ে যাননি, ফুরিয়ে যাননি। ক্রিকেটার নাসির এখনো রান করে যেতে পারেন সাবলীল ঢঙে। বিয়ের বিতর্ক সামলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাসির পেলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে গতকাল সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন তিনি।
জাতীয় লিগে অন্য রকম প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নেমেছেন নাসির। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তিনি ছিলেন প্রত্যয়ী- হাজার রান করতে চান। লক্ষ্যটাকে সামনে রেখে শুরুটা হলো তার শতক দিয়েই। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। সকাল থেকে দাঁতে দাঁত কামড়ে ব্যাটিং করে কিছুটা ধীরলয়েই তিনি পৌঁছেছেন সেঞ্চুরিতে। তবে ৯৯ রানে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে সুইপ করতে গিয়ে প্রায় আউট হতে বসেছিলেন। ওই ওভারেই নাজমুলকে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২১৮ বলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার অষ্টম সেঞ্চুরি।
একের পর এক সতীর্থকে হারানোর পর অবশ্য ইনিংসটি বড় করতে পারেননি নাসির। দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাঁহাতি পেসার সালাউদ্দিন শাকিলকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১১৫ রানে। রংপুরের ইনিংসও শেষ হয়ে যায় ২৩০ রানে। তবে ২৫০ বল খেলে ৩৩০ মিনিটের এই সেঞ্চুরিতে ছিল নাসিরের নিজেকে প্রমাণের দারুণ তাড়না। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছক্কাও।
এর আগে জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার সাইফ হাসানের অনবদ্য সেঞ্চুরি (১২৭) আর নাদিফ চৌধুরীর ৬৯ রানে ঢাকা বিভাগ ৩৬৫ রান তোলে প্রথম ইনিংসে। তারা এখন এগিয়ে ১৩৫ রানে। ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল হোসেন নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১৩৫ রানের লিড নিয়ে ঢাকা বিভাগ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। ঢাকার লিডের লাগাম টেনে ধরতে হলে ভালো বোলিং করতে হত রংপুরকে। নাসিররা তা করছেন সফলভাবেই। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে ঢাকা বিভাগ। নাসির মাত্র ২১ রানের খরচায় শিকার করেছেন চারটি উইকেট। ৯.৫ ওভার বল করে আছে একটি মেডেনও। নাসিরের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন শুভাগত হোম, নাদিফ চৌধুরী, সুমন ইসলাম ও সালাউদ্দিন শাকিল। অল্প রানে গুটিয়ে গেলেও ঢাকা বিভাগ পেয়েছে ২৬৩ রানের লিড। ঢাকাকে দ্রæত থামানোয় জয়ের সুযোগও তৈরি হয়েছে রংপুর বিভাগের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।