নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচে জয় পায় লঙ্কানরা। তবে সমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পণ সফরকারীদের। আগের দুই ম্যাচ ৮ উইকেট ও ৫ উইকেটে হারের পর সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও ৫ উইকেটে হার শ্রীলঙ্কার। এতে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দাপট দেখিয়ে জয়ের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল উইন্ডিজ।
৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো। দ্বিতীয় ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্রাভোর শতকের সঙ্গে শাই হোপ ও অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে ভর করে তৃতীয় ম্যাচে জয় পায় উইন্ডিজ।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক দলের অধিনায়ক পোলার্ড। প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্রাভোর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে (১০২) ভল করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে স্বাগতিকরা। শাই হোপের ৬৪ ও পোলার্ড করেন ৫৩ রান। শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় তারা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে দু’দল।
হোপের সামনে এবার বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি। জাভেদ মিয়াঁদাদের প্রায় দুই যুগ বয়সী রেকর্ড তাড়া করছেন এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৬২ রান করেন হোপ। এটি ছিল ওয়ানডেতে তার টানা ষষ্ঠ ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস। আগের ৫ ইনিংস-৮৪, ১১০, ৭২, ৫১, ১১৫।
টানা ৬ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ক্যারিবিয়ান রেকর্ডে হোপ নাম লিখিয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ ও ক্রিস গেইলের পাশে। সর্বকালের সেরা ওপেনারদের একজন গ্রিনিজ এই কীর্তি গড়েছিলেন ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের মে মাসের মধ্যে। গেইলের সেই ধারা ছিল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে পরের বছরের মে পর্যন্ত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ৩ জন ছাড়া টানা ৬ ইনিংসে ফিফটি ছোঁয়ার স্বাদ পেয়েছেন আরও ৬ জন- নিউজিল্যান্ডের অ্যান্ড্রু জোন্স, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর, পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ, অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ওয়াহ ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।
তাদের সবার থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে বিশ্বরেকর্ড মিয়াঁদাদের। ১৯৮৭ সালের মার্চ থেকে অক্টোবরের মধ্যে টানা ৯ ইনিংসে পঞ্চাশ ছাড়ানোর স্বাদ পান পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি। এরপর টানা ৮ বা ৭ ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা পাননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। হোপের সামনে এবার সেই সুযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।