নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এরমধ্যে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার লড়াইয়ে ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। চলমান ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের ফলই মূলত ঠিক করবে ফাইনালের আরেক দল। আজ থেকে আহমেদাবাদে শুরু হতে যাওয়া দুদলের তৃতীয় টেস্টটা নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় টেস্টে নামবে ভারত। খেলা হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দর্শক ধারণ ক্ষমতার বড় মাঠ আহমেদাবাদের মোতেরায়। যে জিতবে ফাইনালের দিকে এক পা পড়ে যাবে তার।
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে দুয়ার খুলেছিল সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামের। ভারতের গর্বের বস্তু হলেও গুজরাটের স্টেডিয়ামের ভাগ্য ফিরছিল না। উদ্বোধনের কয়েক দিন পরই করোনাভাইরাস মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। নিজেদের মাঠে ক্রিকেট খেলার স্বাদই পাচ্ছিল না ভারত। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর আইপিএল আয়োজন করা হলেও সেটি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফর করে আবার দেশে ফিরেছে ভারত ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেললেও সেগুলো হয়েছে চেন্নাইয়ে। ঠিক এক বছর ঘুরে আজ আরেক ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টের সুবাদেই বিশ্বকে সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামের বিশালত্ব দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে ভারত।
এমন একটি উপলক্ষ এমনিতেই রাঙাতে হতো ভারতকে। সেটা একেবারে কাগজে-কলমে করছে তারা। গুজরাটে দিবারাত্রির টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড ও ভারত। গোলাপি বলের ক্রিকেট দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। ঘরের মাঠে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট খেলছে ভারত। দেশটি ঘরের মাঠে প্রথম গোলাপি টেস্ট খেলেছিল ২০১৯ সালে। বাংলাদেশ-ভারতের সে ম্যাচ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি একদম। তৃতীয় দিনের সকালেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল সেবার। সে তুলনায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার কথা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ইংল্যান্ড জেতার পর ভারত সিরিজে ফিরে এসেছে পরের ম্যাচেই।
এ টেস্টের ওপর শুধু যে সিরিজের ভাগ্য নির্ভর করছে তাই নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটাও ঠিক হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় টেস্টে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে চান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এ কারণে ভাগ্যকেও পাশে চাইছেন অধিনায়ক, ‘লাল বলের চেয়ে গোলাপি বল একটু বেশি সুইং করে। নতুন গোলাপি বলে ব্যাট করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সন্ধ্যার সময়টা খুবই কঠিন। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুত হচ্ছি। গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম সেশনই ব্যাট করার জন্য সবচেয়ে ভালো। সন্ধ্যায় নতুন করে গার্ড নিতে হয়, নতুন করে শুরু করতে হয়।’
কোহলি অবশ্য চ্যালেঞ্জে জেতার জন্য ভালো অস্ত্র পাচ্ছেন হাতে। করোনার কারণে গ্যালারিভর্তি দর্শক ঢুকতে পারবেন না। ধারণক্ষমতার অর্ধেক ঢোকানো হবে। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের অর্ধেক দর্শকই যে ৫৫ হাজার! অনেক দেশের স্টেডিয়ামের পূর্ণ ধারণক্ষমতাই এর কম। কোহলিও এই সমর্থনে ভরসা রাখছেন, ‘দর্শকের উপস্থিতি অনেক বড় পার্থক্য করে দেয়। বিদেশে খেলতে গেলে আমরাও চাপ টের পাই। আশা করি, আগামী টেস্টগুলোয় ভালো সমর্থন পাব। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা সবাই এখানে খেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’
আর ইশান্তের জন্য ম্যাচটা দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করার। দেশের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৯৯ টেস্টে ৩০২ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসার চলমান চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে ভাসছেন রোমাঞ্চে, ‘আমি শুধুমাত্র একটা সংস্করণে খেলি। কাজেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আমার কাছে বিশ্বকাপের মতন। আমরা যদি ফাইনালে যাই এবং পরে জিতি তাহলে বিশ্বকাপ জেতার মতই অনুভূতি হবে।’ শততম টেস্ট হয়ে যেত আরও আগেই। কিন্তু চোটের কারণে যেতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ায়। সেটা হলে টেস্টের সংখ্যা বেড়ে যেত, ‘অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে শততম টেস্ট খেললে ভাল লাগত। কিন্তু কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণে ছিল না।’ ভারতীয় পেসারদের মধ্যে কেবলই কপিল দেবই খেলেছেন একশোর বেশি টেস্ট। ১৩১ টেস্ট খেলা এই কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে ৩২ বছর বয়েসী ইশান্তের। তবে লক্ষ্যটা এখনি অতদূর নিতে চান না তিনি, ‘১৩১ টেস্ট পর্যন্ত যেতে অনেক সময় দরকার। আমার চিন্তা এখন পরের টেস্ট নিয়ে। জিততে পারলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে ভাবব। এভাবেই এগুচ্ছি।’
ইশান্তের সামনে উদাহরণ হিসেবে আছেন প্রতিপক্ষের জেমস অ্যান্ডারসন। ৩৮ পেরিয়েও এখনো সেরা ছন্দ ধরে রেখেছেন তিনি। এক্ষেত্রেও ইশান্ত ভাবনা রাখছেন রয়েসয়ে, ‘এই অবস্থায় ৩৮ বছরের কথা বলা কঠিন। একটা একটা টেস্ট ধরে এগুচ্ছি। আমি নিজের শরীরকে বুঝি। এই বয়সে কোন ধরণের ট্রেনিং দরকার, সেটা জানি। এখন বুঝি শরীরকে রিকভারির সময় দিতে হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।