নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এতদিন টেস্টে কোনো অতিরিক্ত রান ছাড়া সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর কত ছিল? উত্তর পেতে ফিরতে হবে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি পেছনে। ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাস। লাহোরে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান ও ভারত। ড্র হওয়া ওই লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে তারা তুলেছিল ৩২৮ রান। ৬৬ বছর পর চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ভাঙা পড়েছে ওই কীর্তি। তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড।
গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩২৯ রানে। সফরকারী ইংল্যান্ড বোলিং করেছে ৯৫.৫ ওভার। কিন্তু দলটির ছয় বোলার- স্টুয়ার্ট ব্রড, অলি স্টোন, জ্যাক লিচ, বেন স্টোকস, মঈন আলী ও দলনেতা জো রুট দেননি কোনো ওয়াইড, নো কিংবা বাই রান। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতের কোনো খেলোয়াড়ও ব্যাটিংয়ের সময় নেননি লেগ বাই বা বাই রান। অর্থাৎ তাদের তিনশো ছাড়ানো ইনিংসে অতিরিক্ত খাত থেকে যোগ হয়নি কিছুই!
আরেকটি দিক বিবেচনা করলে ভারত-ইংল্যান্ডের এই রেকর্ডের মাহাত্ম্য আরও উঁচুতে পৌঁছে যায়। আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুসারে, পায়ের ‘নো বল’ ডেকে থাকেন তৃতীয় বা টিভি আম্পায়ার। প্রতিটি ডেলিভারির পর বোলারের সামনের পায়ের অবস্থান দেখেন তিনি। ‘নো বল’ হলে যোগাযোগ করেন মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে। এরপর আসে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত। প্রযুক্তির এই ব্যবহারে পায়ের ‘নো বল’ এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। অতীতে হয়তো মাঠের আম্পায়ারের চোখে সবগুলো না-ও পড়তে পারত। তাই প্রায় একশো ওভার বোলিং করে একবারও ‘ওভারস্টেপ’ না করায় কৃতিত্বের দাবিদার ইংল্যান্ড।
রানের হিসাবে লম্বা সময় ধরে যে রেকর্ডটি টিকে ছিল, সেখানে ভারতীয়রা অবশ্য বোলিং করেছিল ইংল্যান্ডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। তাদেরকে হাত ঘোরাতে হয়েছিল ১৮৭.৫ ওভার। সুভাষ গুপ্তে একাই করেছিলেন ৭৩.৫ ওভার। গুলাম আহমেদ ৪৬ ও অধিনায়ক ভিনু মানকড় ৪৪ ওভার করেছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, লাহোরের ওই ইনিংসটিও অতিরিক্ত ছাড়া সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিংয়ের নজির নয়। সেই রেকর্ড বহু পুরনো। শতাব্দী পেরিয়ে এখনও তা অক্ষত। ১২৯ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৯২ সালে মেলবোর্নে ১৯১.৫ ওভার বোলিং করেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছিল মোটে ২৩৬ রান! মাঝে এক দিনের বিরতিসহ ছয় দিন লড়াইয়ের পর ফয়সালা হয়েছিল ওই টেস্টের। অজিরা জিতেছিল ৫৪ রানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।