Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিরপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাকিব আল হাসানকে চোটের কারণে হারানোর পর দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এবার নিতম্বের চোটে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন ওপেনার সাদমান ইসলামও। সাকিবের মতো সাদমানও চোট পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে ফিল্ডিংয়ের সময় বাজেভাবে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পরে কুঁচকিতেই টান লাগে তার। তবে নিতম্বের চোটই তাকে ঠেলে দিয়েছে মাঠের বাইরে। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, চোটের পর সাদমানের অবস্থা উন্নতির পথে থাকলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি এখনও। আপাতত বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে।
কবজির চোট কাটিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাদমান। টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ফিফটি। সাদমানের চোট নিয়ে শঙ্কার কারণেই সাকিবের বদলী হিসেবে কোনো স্পিনার না নিয়ে আগেই দলে নেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে।
সাদমান না থাকায় মিরপুর টেস্টের বাংলাদেশ একাদশে অন্তত দুটি পরিবর্তন এখন নিশ্চিত। সাদমানের জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে থাকবেন সাইফ হাসান ও সৌম্য। সাকিবের জায়গায় ব্যাটসম্যান খেলানো হবে নাকি বোলার, সেটি নিয়েও থাকবে কৌত‚হল। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সেটি পরিস্কার না করলেও বললেন, সাকিবের না থাকা আর সাদমানের চোট মিলিয়েই সৌম্যকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত, ‘সাকিব তো নেই, সাদমানেরও একটু ইনজুরি আছে। এটা মাথায় রাখতে হয়েছে আমাদের। জরুরি প্রয়োজন হলে সৌম্য ওপেন করতে পারবে। এছাড়া টিম ম্যানেজমেন্ট যদি এক স্পেশালিস্ট পেসারের সঙ্গে সৌম্যকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে কাজে লাগাতে চায়, সেটিরও সুযোগ থাকছে। চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনই আমরা সৌম্যর কোভিড পরীক্ষা করিয়ে রেখেছিলাম। এরপর থেকে আইসোলেশনে ছিল। তাই বায়ো-বাবলে ঢুকতে সমস্যা হয়নি।’
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে নামার আগে গতকাল দলের সঙ্গে মিরপুরে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন সৌম্য। সাকিবের চোটের কারণে হুট করেই সিরিজের শেষ টেস্টে দলে এসেছেন তিনি। অথচ এই সৌম্য সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে। লাল বল চোখেই দেখেছেন এক বছর আগে, সেই সৌম্যরই ঢাকা টেস্টে খেলার সম্ভাবনা প্রবলই।
বাস্তবে এক সেশন নেটে ব্যাটিং করেই টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়া সম্ভব না হলেও জাতীয় দলের কোচদের চেষ্টার তারিফ করতেই হয়। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোই যেমন শুরু থেকেই গভীর মনোযোগে দেখছিলেন সৌম্যর ব্যাটিং। টুকটাক পরামর্শ দিচ্ছিলেন। পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনেরও আগ্রহের শেষ নেই। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের চোখও সৌম্যর ব্যাটিংয়ে। এক পাশে তামিম, আরেক পাশে মুমিনুল ব্যাটিং করছেন। তাঁদের নিয়ে আগ্রহ কিন্তু তেমন দেখা গেল না। কোচরা সৌম্যর ব্যাটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। সৌম্য নেট ছাড়ার আগে কোচিং স্টাফের কেউই নেট ছাড়লেন না। এরপর ইনডোর থেকে ড্রেসিং রুম পর্যন্ত রাস্তাটা সৌম্যর সঙ্গে কথা বলতে বলতে গেলেন ডমিঙ্গো।
চার দিন ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেও চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেছে শেষ দিনের ব্যর্থতায়। কাইল মেয়ার্সের অতিমানবীয় এক ইনিংস আর বিরোচিত রান তাড়ায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম পয়েন্টের আশাও তাতে যায় গুঁড়িয়ে। সেই আশা প‚রণের আরেকটি ধাপ এখন মিরপুর টেস্ট। সিরিজ হার এড়ানোর জন্যও জয় ছাড়া উপায় নেই বাংলাদেশের। ব্যক্তিগতভাবে মুশফিকুর রহিমের জন্যও ভালো কাটেনি চট্টগ্রাম টেস্ট। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হয়েও। তবে সব হতাশা পেছনে ফেলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত, বলছেন দেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যান। টেস্টের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুশফিক বললেন, চ্যালেঞ্জ জয় করার জন্য দল প্রস্তুত, ‘প্রথম ম্যাচ আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে আমরা জানি, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। দলের সবাই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে এবং মানসিকতার প্রমাণ দিতে প্রস্তুত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামছি আমরা, সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আমরা করব জয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ