নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রাওয়ালপি-ি টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো স্বাগতিক পাকিস্তান। আগের দিন পাকিস্তানের টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে টিকে ছিলেন রিজওয়ান। তার ভরসায় ছিল দল। যদি তিনি অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারেন তাহলে ঘরের মাঠে টেস্ট হারার শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। হ্যা, দলের অতি প্রয়োজনের সময় ঠিকই জ্বলে উঠলেন রিজওয়ান। ১১৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারে শুধু প্রথম সেঞ্চুরিই পান, প্রতিপক্ষ দলকে ছুঁড়ে দিয়েছেন বড় চ্যালেঞ্জ।
রাওয়ালপি-ি টেস্টের চতুর্থ দিন রোববার পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৮ রানে অলআউট হলে দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছে। ফলে জয়ের জন্য এখন তাদের প্রয়োজন ৩৭০ রান। আজ টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামবে সফরকারীরা। তাই বলা যায় শেষ দিনের রোমাঞ্চকর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন রাওয়ালপি-ির ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৩৩ রানে ওপেনার ডিন এলগার ১৭ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আউট হন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন আরেক ওপেনার এইডেন মার্করাম। এরমধ্যেই ৯৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছেন তারা।
এর আগে রোববার সকালে আগের দিনের ৬ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। রিজওয়ান তখন ২৮ রানে ব্যাটিংয়ে। তার সঙ্গী হাসান আলী তখনও রানের খাতা খুলেননি। পরে রান নিলেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হাসান মাত্র ৫ রান করে আউট হন। তিনি ফিরে গেলে অষ্টম উইকেটে ইয়াসির শাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রিজওয়ান। ইয়াসিরের সঙ্গে ৫৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বড় লিডের আশা দেখান। তবে ইয়াসিরের বিদায়ে হতাশা ভর করে পাকিস্তান শিবিরে। কিন্তু নবম উইকেটে নুমান আলির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে
দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রিজওয়ান। নুমান- রিজওয়ান জুটি স্কোরবোর্ডে ৯৭ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হয়। এ জুটি ভাঙার পর ৫ রানের ব্যবধানে শেষ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৮ রান।
রিজওয়ান থাকেন অপরাজিত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ১১৫ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ২০৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৫টি চারের মার। নুমানের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। তিনি ৭৮ বলে ৬টি চার ও ২ ছয়ের মারে করে এ রান। ২৩ রান করেন ইয়াসির।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দারুণ বোলিং করে ৬৪ রানের খরচায় ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট শিকার করেন জর্জ লিন্ডে। ১১৮ রানে ৩টি উইকেট পান কেশভ মহারাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (চতুর্থ দিন শেষে)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ২৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ২০১
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : ২৯৮ (আগের দিন ১২৯/৬) (ইমরান ০, আবিদ ১৩, আজহার ৩৩, বাবর ৮, ফাওয়াদ ১২, রিজওয়ান ১১৫*, ফাহিম ২৯, হাসান ৫, ইয়াসির ২৩, নুমান ৪৫, আফ্রিদি ৪; রাবাদা ২/৩৪, নরকিয়া ০/৫৭, মহারাজ ৩/১১৮, মুল্ডার ০/১৬, লিন্ডে ৫/৬৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭০) ৪১ ওভারে ১২৭/১ (মার্করাম ৫৯*, এলগার ১৭, ডুসেন ৪৮*; আফ্রিদি ১/২২, হাসান ০/৩৬, নুমান ০/৩৫, ইয়াসির ০/২১, ফাহিম ০/১৩)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।