নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন হাসান আলি ঝলকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লিড পেয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। তার আগুন ঝরা বোলিংয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে ৭১ রানের লিড পায় পাকিস্তান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শনিবার ৬ উইকেটে ১২৯ রানে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে ২০০ রানে। আগের দিনের ব্যাটিং ধ্বস থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বোলারদের দৃঢ়তায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে লড়াই করছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা বড় লক্ষ্য দিতে পাকিস্তানের চোখ এখন মোহাম্মদ রিজওয়ানের দিকে। এই উইটেকিপার ব্যাটসম্যান ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। চলতি সিরিজ দিয়েই টেস্টে ফিরে চমক দিয়েছেন হাসান আলি। তিনি ৫৪ রানে তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট।
৪ উইকেটে ১০৬ রান হাতে নিয়ে কাল দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শুরুতেই তারা হারায় কুইন্টন ডি কককে। শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে করেন ২৯ রান। ডি কক আউট হলে ভিয়ান মুল্ডারকে নিয়ে এগোতে থাকেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা। কিন্তু ৪৯ রানের সম্ভাবনাময় এই জুটি ভাঙে রান আউটে। ৩ চার ও এক ছয়ে ৩৩ রান করে ফেরেন অলরাউন্ডার মুল্ডার। এরপরই হাসানের বোলিং তান্ডবে দিশেহারা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জ লিন্ডে, কেশভ মহারাজ, আনরিক নরকিয়াকে বোল্ড করে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো তুলে নেন ৫ উইকেট। মাঝে কাগিসো রাবাদা হন রান আউট। এক প্রান্ত আগলে রাখা বাভুমা শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
৭১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান রানের খাতা খোলার আগেই হারায় প্রথম উইকেট। রাবাদার বলে শূণ্য রানে এলবিডাবিøউ হয়ে ফিরে যান ইমরান বাট। আবিদ আলি ১৩ রান করে মহারাজের স্পিনে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। বাবর আজমকেও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি এই স্পিনার। তার এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাক অধিনায়ক।
দলের হাল ধরার চেষ্টায় থাকা বাবর আউট হওয়ার পর আজহার আলির দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও পারেননি। তার প্রতিরোধ ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার লিন্ডে। কয়েক ওভার পর ফাওয়াদ আলমকেও ফেরান তিনি।
৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যান রিজওয়ান ও প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা ফাহিম আশরাফ। দুইজনে গড়েন পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি।
দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে লিন্ডের স্পিনে ২৯ রানে ফাহিম ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ভাঙে ৫২ রানের জুটি। হাসানকে নিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন রিজওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ২৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ৬৫.৪ ওভারে ২০১ (আগের দিন ১০৬/৪) (বাভুমা ৪৪*, ডি কক ২৯, মুল্ডার ৩৩, লিন্ডে ২১, মহারাজ ১, রাবাদা ০, নরকিয়া ০; আফ্রিদি ১৩-২-৩৭-১, হাসান ১৫.৪-২-৫৪-৫, ফাহিম ৮-২-২০-১, নুমান ১৭-৮-৩৬-১, ইয়াসির ১২-২-৫৪-০)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস : ৫১ ওভারে ১২৯/৬ (ইমরান ০, আবিদ ১৩, আজহার ৩৩, বাবর ৮, ফাওয়াদ ১২, রিজওয়ান ২৮*, ফাহিম ২৯, হাসান ০*; রাবাদা ৭-৩-৪-১, নরকিয়া ৮-৫-২৪-০, মহারাজ ২১-৩-৭৪-২, মুল্ডার ৬-১-১১-০, লিন্ডে ৯-৫-১২-৩)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।