নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দিতা দেখাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজটি ছিল নিদারুণ পানসে। তবে এবার ফরম্যাট বদলেছে। সাদা পোষাকের ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ঝাঁঝ ছড়াবে বলে মনে করেন টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আজ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি। তার আগে গতকাল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে তিনি জানান, টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি খবুই ভালো হয়েছে। চট্টগ্রামে নিজেদের তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে টাইগাররা। সিরিজটি রোমাঞ্চকর ব্র্যান্ডের হবে বলেই মত তার, ‘গত কয়েক সপ্তাহে রোমাঞ্চকর কিছু টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। আমি পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড-শ্রীলংকার ম্যাচ দেখেছি। আশা করি, আমরা রোমাঞ্চকর ব্রান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারব। খুবই প্রতিদ্ব›দ্বীতাপ‚র্ণ প্রতিযোগিতা হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কিছু ভালো মানের ক্রিকেটার আছেন। আমরা পয়েন্ট তুলে নিতে চাইব। ঘরের মাঠে খেলা। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলব।’
তবে অনেক দিন পর যেহেতু টেস্ট ম্যাচে নামছে সেহেতু বাংলাদেশের জন্য সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। অবশ্য তার শিষ্যরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, তাতে আত্মবিশ্বাসী ডমিঙ্গো। তার মতে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে বড় টেস্ট ম্যাচ খেলে এসেছে ক্যারিবিয়রা। কাজেই তাদের হালকাভাবে নেয়ার কোনো কারণ নেই, ‘তাদেরকে যদি আমরা হালকা ভাবে নিই, এটা হবে বিপদ ডেকে আনা। তাদের দলে বেশ কিছু দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। ব্রার্থওয়েট ধারাবাহিক পারফর্মার। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ বিশ্বমানের বোলার। আমাদের আত্মতুষ্টির কিছু নেই। আমরা জানি, যেকোনো কন্ডিশনে তারা ভয়ংকর দল। তাদের বিপক্ষে ফল বের করে নিয়ে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২০ বছরের পথচলায়ও বলার মতো উন্নতি টিম বাংলাদেশের নেই। এরপর আবার মহামারী করোনার কারণে গত এক বছর এই ফরম্যাট থেকে ছিল নির্বাসনে। সেকারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ স্বাগতিকদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো।
চট্টগ্রামে গেল এক সপ্তাহ স্বাগতিকরা যে আঁটসাঁট প্রস্তুতি নিয়েছেন তাতে শিষ্যরা সফরকারিদের দৃপ্ত হাতে মোকাবিলা করবে বলেই আভাস দিলেন টাইগার হেড কোচ, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো ছিল। আমরা চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ পেয়েছি। ছেলেরা ফিটনেস ঠিক রাখতে মাঠে ও জিমে কঠোর পরিশ্রম করেছে। তবে এক বছর টেস্ট না খেলাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আপনারা জানেন যে এই ফরম্যাটে বোলারদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ফিটনেস দরকার হয়। তাছাড়া ব্যাটসম্যানদেরও লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হয় অতএব সিরিজটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিংই হবে। তাছাড়া এটা এমনই একটা ফরম্যাটে যেখানে আমরা উন্নতি করতে চাই।’
গত ২৫ জানুয়ারি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান। টিম হোটেলে ৫ দিনের পুনর্বাসন শেষে গত পরশু ফিরেছেন অনুশীলনে। প্রথম দিন শুধুই ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। গতকাল বলিং অনুশীলন করেছেন সত্যি তবে তা খুবই অল্প সময়ের জন্য। দলের বিশ্রামের দিনে জোর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এসে পাঁচ ওভার বোলিং করে গেছেন লাল-সবুজের নন্দিত এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবশ্য হেড কোচ বলছেন, সাকিব এখনো শতভাগ ফিট হননি। তবে তিনি আশা করছেন চট্টগ্রামের সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে তার খুব একটা অসুবিধা হবে না, ‘সাকিব আমাদের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ একজন প্লেয়ার, সেটা বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই। সে একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যার বদলি পাওয়া খুবই কঠিন সেটা যে ফরম্যাটেই হোক না কেন। তবে কুঁচকির চোটের পর প্রস্তুতি নেয়াটা তার জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তাকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সে এখনো শতভাগ ফিট নয় কিন্তু এখনো একদিন সময় আছে হাতে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সে প্রথম টেস্টের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং সেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছে। গত দুদিনে সে হাতে গোনা কয়েকটি বল করেছে, খুব বেশি অসুবিধা বোধ করেনি। অতএব আমাদের মনে হয় সে খেলার জন্য প্রস্তুত।’
টেস্টে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ
মুখোমুখি বাংলাদেশ উইন্ডিজ ড্র
৮ ২ ৫ ১
সর্বাধিক ম্যাচ
বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ/মুশফিক/তামিম, ৬টি করে
উইন্ডিজ : কেমার রোচ, ৫টি
অধিনায়ক হিসেবে
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৩টি
উইন্ডিজ : ব্রায়ান লারা/জেসন হোল্ডার, ২টি করে
সর্বোচ্চ দলীয়
বাংলাদেশ : ৪১৬, গ্রস আইল ২০০৪
উইন্ডিজ : ৫৫৯/৪ ডি., কিংস্টোন ২০০৪
সর্বনিম্ন দলীয়
বাংলাদেশ : ৪৩, নর্থ সাউন্ড ২০১৮
উইন্ডিজ : ১২৯, কিংস্টাউন ২০১৮
সব জয়
বাংলাদেশ : ৪ উইকেটে এবং ৯৫ রানে
উইন্ডিজ : ইনিংস ও ২১৯ রানে
সর্বাধিক রান
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল, ৬ ম্যাচে ৪২৭
উইন্ডিজ : ক্রেইগ ব্রাফেট, ৪ ম্যাচে ৫৬৩
সর্বোচ্চ ইনিংস
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল ১২৮, কিংস্টাউন
রমনারেশ সারোয়ান ২৬১*, কিংস্টোন
সর্বাধিক সেঞ্চুরি
বাংলাদেশ : বাশার/পাইলট/রফিক/মুশফিক/তামিম, ১টি করে
উইন্ডিজ : ক্রেইগ ব্রাফেট, ৩টি
সর্বাধিক ফিফটি
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল, ৩টি
উইন্ডিজ : চন্দরপল/ব্রাফেট, ৪টি করে
সিরিজে সর্বাধিক রান
বাংলাদেশ : হাবিবুল বাশার, ২ ম্যাচে ২৩৫
উইন্ডিজ : ক্রেইগ ব্রাফেট, ২ ম্যাচে ৩২৪
সেরা জুটি
বাংলাদেশ : তামিম/জুনাইদ ১৪৬ (২য় উই.), ২০০৯
উইন্ডিজ : সারওয়ান-চন্দরপল ২৬২* (৫ম উই.) ২০০৪
সর্বাধিক উইকেট
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৪ ম্যাচে ২১টি
উইন্ডিজ : কেমার রোচ, ৫ ম্যাচে ২৯টি
ইনিংসে সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৬/৩৩
উইন্ডিজ : কোমার রোচ, ৬/৪৮
ম্যাচে সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ, ৮/১১০
উইন্ডিজ : জেসন হোল্ডার, ১১/১০৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
বাংলাদেশ : সাকিব/মিরাজ, ২ বার করে
উইন্ডিজ : কেমার রোচ, ৩ বার
সিরিজে সর্বাধিক উইকেট
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ২ ম্যাচে ১৩টি
উইন্ডিজ : জেসন হোল্ডার, ২ ম্যাচে ১৬টি
সর্বাধিক ক্যাচ
বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ, ৬ ম্যাচে ৬টি
উইন্ডিজ : ড্যারেন ব্রাভো, ২ ম্যাচে ৭টি
সর্বাধিক ডিসমিসাল
বাংলাদেশ : মুশফিকুর রহিম, ৬ ম্যাচে ৮টি
উইন্ডিজ : দিনেশ রামদিন, ২ ম্যাচে ১১টি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।