নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএলে) ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী ছয় দল গুছিয়ে নিয়েছে যার যার স্কোয়াড। আর সেখানে ঠাঁই হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় লাহোরের হাইপারফরম্যান্স সেন্টারে পিএসএলের ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়।
ড্রাফটে নাম ছিল বাংলাদেশের ২০ ক্রিকেটারের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদসহ আরও কয়েকজনের নাম ছিল সেখানে। কিন্তু এদের কাউকেই দলে নেয়নি ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।
ধারণা করা হচ্ছিল- অন্ততপক্ষে কাটারমাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভেড়াবে কেউ। কারণ ড্রাফটে সর্বোচ্চ প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ছিল তার নাম।
পিসিএলের ফ্রাঞ্চাইজিরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিষয়ে অনীহার কারণ অবশ্য একটিই, তা হলো- পিএসএল চলাকালীন বাংলাদেশ দল থাকবে নিউজিল্যান্ড সফরে। তাই সময়মতো তাদের দলে পাওয়া নিয়ে সংশয় কাজ করছিল।
যে কারণে ঝুঁকি নিতে চায়নি পিসিএলের ছয় দলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়কে নেয়নি তারা।
প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত লাহোর ও করাচিতে হবে পিএসএলের এবারের আসর। সে লক্ষ্যেই নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে অংশগ্রহণকারী ছয় দল।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে প্রতিটি দলকেই আগের দল থেকে সর্বোচ্চ আটজনকে ধরে রাখার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে ড্রাফটসহ ১৬ খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজানোর নিয়ম করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুজন বাড়তি খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী, প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৩, ডায়মন্ড ক্যাটাগরির ৩, গোল্ড ক্যাটাগরির ৩, সিলভার ক্যাটাগরির ৫ ও দুজন ইমার্জিং খেলোয়াড় নিয়ে ১৬ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছে সব দল। যেখানে ন্যূনতম ৫ বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে।
একনজরে প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে ছয় দলের স্কোয়াড
লাহোর কালান্দার্স
ড্রাফট থেকে নেওয়া: আহমেদ দানিয়াল, মাজ খান, মোহাম্মদ ফাইজান, জো ডেনলি, রশিদ খান, সামিট প্যাটেল, টম অ্যাবল, সালমান আলি আঘা, জাইদ আলম ও জিসান আশরাফ।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: বেন ডাঙ্ক, ডেভিড উইসে, দিলবাস হুসাইন, ফখর জামান, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাফিজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সোহেল আখতার।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড
ড্রাফট থেকে নেওয়া: হাসান আলি, আহমেদ সাইফি আবদুল্লাহ, আকিফ জাভেদ, ক্রিস জর্ডান, ইফতিখার আহমেদ, লুইস গ্রেগরি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, ফিল সল্ট, রোহাইল নাজির ও রিস টপলি।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: অ্যালেক্স হেলস, আসিফ আলি, কলিন মুনরো, ফাহিম আশরাফ, হুসাইন তালাত, মুসা খান, শাদাব খান এবং জাফর গোহার।
করাচি কিংস
ড্রাফট থেকে নেওয়া: চ্যাডউইক ওয়ালটন, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, দানিশ আজিজ, জো ক্লার্ক, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, নুর আহমেদ, কাশিম আকরাম ও জিসান মালিক।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: আমের ইয়ামিন, আরশাদ ইকবাল, বাবর আজম, কলিন ইনগ্রাম, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শারজিল খান ও ওয়াকাস মাকসুদ।
মুলতান সুলতানস
ড্রাফট থেকে নেওয়া: অ্যাডাম লিথ, কার্লোস ব্রাথওয়েট, ক্রিস লিন, ইমরান খান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ উমর, শাহনেওয়াজ ধানি, সোহাইব মাকসুদ, সোহাইবুল্লাহ ও সোহাইল খান।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: শহীদ আফ্রিদি, ইমরান তাহির, জেমস ভিনস, খুশদিল শাহ, রাইলি রুশো, শান মাসুদ, সোহেল তানভীর ও উসমান কাদির।
পেশোয়ার জালমি
ড্রাফট থেকে নেওয়া: আবরার আহমেদ, আমাদ বাট, ডেভিড মিলার, ইমাম-উল হক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মোহাম্মদ আমির খান, মোহাম্মদ ইরফান সিনিয়র, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ ইমরান রান্ধাবা, মুজিব-উর-রহমান, রবি বোপারা, সাকিব মাহমুদ, শেরফান রাদারফোর্ড ও উমাইদ আসিফ।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: হায়দার আলি, কামরান আকমল, শোয়েব মালিক ও ওয়াহাব রিয়াজ।
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস
ড্রাফট থেকে নেওয়া: আব্দুল নাসির, আরিশ আলি খান, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, ক্রিস গেইল, ডেল স্টেইন, কাইস আহমেদ, সাইম আইয়ুব, টম ব্যান্টন, উসমান খান, উসমান শিনওয়ারি ও জাহিদ মাহমুদ।
ধরে রাখা খেলোয়াড়রা: আনোয়ার আলি, আজম খান, বেন কাটিং, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নাওয়াজ, নাসিম শাহ, সরফরাজ আহমেদ ও জাহিদ মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।