নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিরাট কোহলিদের সৌজন্যে ভারতের হয়ে টেস্টে সর্বনিম্ন সংগ্রহের বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলেছে সুনিল গাভাস্কারদের। ৪৬ বছর আগের অভিজ্ঞতা থেকে গাভাস্কার উপলব্দি করতে পারছেন এখনকার অবস্থা। উত্তরস‚রিদের চেষ্টায় কমতি দেখছেন না ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি। জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন নিরুপায় ছিলেন তারা, এবার অস্ট্রেলিয়ায় সেটিই হয়েছে।
১৯৭৪ সালে লর্ডস টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে গাভাস্কাররা লড়াই করতে পারেননি একটুও। জিওফ আর্নল্ড ও ক্রিস ওল্ডের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয়দের কেউই। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ইংল্যান্ড পায় ইনিংস ও ২৮৫ রানের বিশাল জয়।
এবার অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাডিলেইডে খেলা দিবা-রাত্রির টেস্টে প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউডের বোলিংয়ে মাত্র ৩৬ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেও কেবল ৯০ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে সফরকারী দলটি। যা অনায়াসে অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে ৮ উইকেট হাতে রেখে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরিস্থিতি ভালোই বুঝতে পারছেন গাভাস্কার। চ্যানেল সেভেনকে জানালেন, কন্ডিশন অনুযায়ী যে বোলিং হয়েছে তাতে কোহলিদের করার ছিল সামন্যই, ‘অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা আজ ছিল দুর্দান্ত। ভারতীয়দের প্রচেষ্টায় আজ কোনো ঘাটতি দেখিনি আমি। ১৯৭৪ সালে এমনই হয়েছিল। লর্ডসে ওভারকাস্ট কন্ডিশনে বল এদিক-সেদিক সুইং করছিল। আমাদের কেউই বাজে শট খেলেনি। আমরা সবাই এলবিডাবিøউ ও কট বিহাইন্ড হয়েছিলাম। এই কোয়ালিটির বোলিং ও এমন লাইন-লেংথের বলের মুখোমুখি হলে, রান নেওয়া খুবই কঠিন। আজ (পরশু) ভারতের সেটাই হয়েছে।’
তবে গাভাস্কারের মতো দায়সারা সান্ত¡নায় কাজ হবে না সেটি ভালোই জানেন কোহলি। তাইতো রাখঢাক না করে এই বিব্রতকর অভিজ্ঞতার জন্য দলের ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাকে দুষছেন ভারত অধিনায়ক। তার মতে, রান তোলার লক্ষ্যই কাল হয়েছে তাদের জন্য। অ্যাডিলেইড ওভালে ৯ রানে এক উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ভারত। সেখান থেকে মাত্র ৩৬ রানেই গুঁড়িয়ে যায় কোহলিরা। জশ হেইজেলউড, প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি সফরকারীদের একজনও। ৬২ রানে এগিয়ে থেকে দিন শুরু করা ভারত অস্ট্রেলিয়াকে লক্ষ্য দেয় মাত্র ৯০ রানের। ৮ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ভালো অবস্থায় থেকে এমন বাজে হারে হতাশ কোহলি ও পুরো দল। অধিনায়ক জানালেন, এই হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তারা, ‘ড্রেসিং রুমের সবাই কেমন অনুভব করছে, এটা ভাষায় প্রকাশ করা খুবই কঠিন। দুই দিন ধরে যখন আমরা কঠোর পরিশ্রম করে, ভালো ক্রিকেট খেলে নিজেদেরকে ভালো একটি অবস্থানে দাঁড় করালাম। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি অবস্থায় চলে গেলাম, যেখান থেকে ম্যাচ জেতা অসম্ভব। হাতে থাকা ৯ উইকেট নিয়ে ১০০ পেরিয়ে যেতে পারলে ভালো অবস্থায় থাকতাম। কিন্তু এটাকে আমাদের মনে রাখতে হবে, এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লাইন-লেংথে খুব একটা পরিবর্তন আনেননি। প্রথম ইনিংসের মতোই ছিল তাদের বোলিংয়ের ধার। তবে কোহলি মনে করেন, নিজেরাই বিপাকে ফেলেছেন নিজেদের। তিনি যেমন নিজে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন গালিতে থাকা ক্যামেরন গ্রিনের হাতে, ‘প্রথম ইনিংসের মতো একই জায়গায় তারা বল করেছে। কিন্তু সম্ভবত আমাদের মানসিকতা ও লক্ষ্য বা অভিপ্রায় ছিল রান করার, এক বা দুই হলেও। সত্যি বলতে, কিছু ভালো বল হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না শুরুতে বল খুব বেশি মুভ করেছে। যেখানে বল ব্যাটের কানায় লাগছে, ওখানে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার ম‚ল কারণ ছিল আমাদের মানসিকতা। আমাদের খেলায় সেটার স্পষ্ট প্রমাণ মিলে, আমরা কেবল একের পর এক উইকেট হারিয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।