নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ঘটেছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। গতপরশু ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে দুবার আবেগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। হাতে বল থাকা অবস্থাতে সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে দুবার তেড়েও যান তিনি। উদ্যত হন মারতে! প্রথমটি ঘটে ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে। দ্বিতীয় ঘটনা সপ্তদশ ওভারে। ভাগ্যচক্রে দুবারই ‘প্রতিপক্ষ’ নাসুম। এ ছাড়াও এই ম্যাচে আরও কয়েকবার বোলারদের বাজে ডেলিভারিতে বা ফিল্ডারদের ভুলের পর বেশক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে মুশফিকের আচরণে।
তবে পরে এই ঘটনায় ভক্ত ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিক। বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক বলেছেন, ম্যাচ শেষে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন নাসুমের কাছেও। এমন কিছু ভবিষ্যতে আর করবেন না বলেও জানিয়েছেন দেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। গতকাল নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করেছেন মুশফিক। আর লিখেছেন, ‘প্রথমত, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি মহান আল্লাহর কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথ দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে কিংবা বাইরে আর হবে না।’
তবে তার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনা করে মুশফিকের সমালোচনা মেনে নিতে পারেন নি নাসুম নিজেই। পরে ফেসবুকের দ্বারস্থ হয়ে এই তরুন লেখেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। গতকালের (পরশু) ম্যাচের পর থেকে দেখছি আমাকে আর মুশফিক ভাইকে নিয়ে আপনারা যেগুলো লিখছেন, এগুলা কাম্য নয়। যেগুলো টিভি সেটে দেখেছেন এগুলো মাঠে হতেই পারে। আমাদের মিস এফোর্টের মাত্রাটাও একটু বেশিই ছিল। গতকালের (পরশু) ম্যাচে পার্টিকুলারলি মনে হয়েছে আমি একটু বেশিই এফোর্টলেস ছিলাম। আর যদি বলেন বকা দেয়ার কথা, মুশফিক ভাই শাসাতে পারেন। তাই বলে তিনি মাফ চাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করেননি। আমরা সবাই তার ছোট, তার কাছ থেকে বকুনি শুনেই ধীরে ধীরে পরিণত ক্রিকেটার হবো। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে মাঠের বাইরে আমার বন্ধনটা অনেক ভালো। উনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর সময় দিয়েছেন, কীভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে। আমাদের মধ্যে তেমন কিছু হয়নি। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুম ও টিম হোটেলে এ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তাই বড় ভাই ও অধিনায়ক হিসেবে শাসন করতেই পারেন। দয়া করে এ ব্যাপারটা নিয়ে আর কিছু লিখবেন না।’
তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি মুশফিকের। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা গুণতে হচ্ছে অভিজ্ঞ এই সেনানীকে। শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে। গতকালই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুশফিককে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আচরণবিধি ভঙের ২.৬ ধারা অনুযায়ী মুশফিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। নিজের ভুল স্বীকার করে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি। টুর্নামেন্টের ৭.৫ ধারা অনুযায়ী চার ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে ওই ক্রিকেটারকে। মুশফিকের অপরাধ অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।