নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিরাট কোহলি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবেন। এরপরই নির্দিষ্ট কোনো একটি সংস্করণ বেছে নেবেন খেলার জন্য। টানা তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে কোহলির জন্য। অবশ্য সেটা দুই বছর ধরে এমনিতেও বোঝা যাচ্ছে। খুব বেশি গুরুত্বপ‚র্ণ মনে না হলে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে সিরিজ থেকে নাম কাটিয়ে নেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত স‚চিতে ক্লান্ত হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত দশকে কোহলির চেয়ে বেশি বল খেলেননি কোনো ব্যাটসম্যান।
কোহলিই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ক্রিকেটার ছিলেন, সেটা তো বোঝা গেলই। কারণটাও পরিষ্কার, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে ব্যস্ত ছিল ভারত। এ সময়ে ৪৬২টি ম্যাচ খেলেছে তারা। ব্যস্ততায় তাদের আশপাশে আছে শুধু ইংল্যান্ড। আর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ২৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর বাংলাদেশ পেয়েছে ২৯৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সঙ্গে সিরিজই আর্থিকভাবে সবচেয়ে লোভনীয়। সে কারণেই ভারতে সফর করতে কিংবা ভারতকে আতিথ্য দিতে মুখিয়ে থাকে সব দল। তার প্রভাব দেখা গেছে গত কিছুদিনের ক্রিকেটেও। গত এক দশকে ভারত এক বছরে সবচেয়ে কম খেলেছে ২০১৫ সালে। বিশ্বকাপের বছর বলে সেবার মাত্র ৩৬টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। কিন্তু বিশ্বকাপও যে এখন আর গণ্য হচ্ছে না, তার প্রমাণ ২০১৯। এ বছর ৫২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ভারত। এর আগের দুই বছরে বিসিসিআই ৫৩টি করে ম্যাচ খেলিয়েছে কোহলিদের।
বাংলাদেশ একবারই বছরে ৪০-এর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। ২০১৮ সালে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে ও ও ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল। আর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বছরজুড়ে খেলে মাত্র ১৯টি ম্যাচ! কোনো বছরই বাংলাদেশ বছরে ৯টির বেশি টেস্ট খেলতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাই বাংলাদেশের ব্যস্ততা খুবই কম ছিল। ১০ বছরে মাত্র ৪৯৯ দিন মাঠে ছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত বছর ২০১৮। সেবার সর্বোচ্চ ৬৫ দিন মাঠে ছিল বাংলাদেশ দল।
ভারত দেখেছে এর উল্টো দিকটা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাদের ব্যস্ত রেখেছে প্রতিবছর। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা ছিল ২০১০ সালে। ১৪ টেস্ট, ২৯ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি মিলে ১০২ দিন মাঠে ছিল ভারত। অবশ্য ইংল্যান্ডও কম যায়নি। ২০১৬ সালে ১৭ টেস্ট, ১৮ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলা দলটিও মাঠে ১০২ দিন কাটিয়েছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট চতুর্থ দিনে গড়াতে পারলেই সবচেয়ে ব্যস্ততার রেকর্ডটা এককভাবে ইংল্যান্ডের হয়ে যেত।
গত ১০ বছরে ৮৩৫ দিন মাঠে ছিল ভারত। এর মাঝে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য ৩৬৭ দিন। ৫৬৮ দিন তাদের মাঠে দেখা গেছে সাদা পোশাকে। ম্যাচ খেলার দিক থেকে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড (৪৩৫ ম্যাচ)। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট বেশি প্রিয় বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রেখেছে তাদের। ১০ বছরে ৫৫৭ দিন টেস্ট ক্রিকেটে কাটিয়েছে এ দল। এ কারণে সবচেয়ে বেশি বল করা বোলারটিও তাদের। এই দশকে ২৭৩০৮টি বল করেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। তার পরেই আছেন সতীর্থ স্টুয়ার্ট ব্রড, ২৬৮৯০ বল। সব সংস্করণ মিলে ৮৭১ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে তারা। ৪৪৯টি ম্যাচ খেললে শ্রীলঙ্কা মাঠে ছিল ৭৯৪ দিন। আর ৪২৬ ম্যাচে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ৮১৫ পর দিন কাটিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
গত এক দশকে সবচেয়ে ব্যস্ত ক্রিকেট দল
দিন দল
৮৭১ ইংল্যান্ড
৮৩৫ ভারত
৮১৫ অস্ট্রেলিয়া
৭৯৪ শ্রীলঙ্কা
৭২০ পাকিস্তান
৬৭৫ নিউজিল্যান্ড
৬৬০ দক্ষিণ আফ্রিকা
৬৫৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৪৯৯ বাংলাদেশ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।