নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেই ২০০১/০২ মৌসুমে প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ার দিয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন উমর গুল। ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর খেলে যাচ্ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট। এবার তাতেও টানলেন ইতি, বিদায় বেলায় এই পেসারকে স্পর্শ করল আবেগের অশ্রæ। গতপরশু পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে বিদায় নেয় গুলের দল বেলুচিস্তান। আগে ব্যাট করে বেলুচদের করা ১৬১ রান মাত্র ১০.৪ ওভারেই তুলে নেয় সাউদার্ন পাঞ্জাব। জীবনের শেষ প্রতিযোগিতাম‚লক ম্যাচে ২ ওভারে গুল দেন ৩৪ রান।
আগেই ঠিক করে রেখেছিল এই টুর্নামেন্টই হবে তার শেষ। ম্যাচ শেষ হতেই তাই সবার চোখ পড়ে গুলের দিকে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও এগিয়ে আসেন। এ সময় কাঁদতে দেখা যায় ৩৬ বছর বয়েসী ডানহাতি পেসারকে। পরে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পথচলার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি, ‘গত দুই দশক ধরে ক্লাব, শহর,আমার প্রদেশ ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি, যা ছিল অনেক বড় সম্মানের। ক্রিকেটের এই পথচলা ছিল উপভোগ্য। খেলাটা আমাকে পরিশ্রম আর নিবেদন শিখিয়েছে। এই পথচলায় যাদের পাশে পেয়েছি, যারা সমর্থন যুগিয়েছেন তাদের সবাইকে জানাই কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা।’ অবসর নিলেও ক্রিকেট ছেড়ে যে থাকতে পারবেন না- সে কথাও এদিন বলে দিয়েছেন গুল, ‘এখন পরিবারকে সময় দিতে চাই, তবে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাটা কঠিন। যে খেলা এবং দেশ আমাকে এই গ্রহের অন্যতম ভাগ্যবান মানুষ বানিয়েছে, এখন সেটিকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই।’
২০০৩ সালে করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় গুলের। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যাপ পান তিনি। দেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন তিনি ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৪৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার শিকার ১৬৩ উইকেট, ১৩০ ওয়ানডেতে উইকেট ১৭৯টি ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলে উইকেট ৮৫টি। ২০০৭ থেকেই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অবদান। নতুন ও পুরনো বলে কার্যকর এই পেসার রিভার্স স্যুয়িংয়ে ছিলেন পটু। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে পাকিস্তানকে খেলায় ফিরেছেন বহুবার।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, সে সময় যা ছিল এই সংস্করণের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ২০১৩ সালে আবার ৬ রানে ৫ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, এবার ২.২ ওভারেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেট ৪৭৯টি। সব ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেটে তার মোট শিকার ৯৮৭ উইকেট। এমন এক পেসারের বিদায় বেলায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও। পিসিবির সিইও ওয়াসিম খান বলেন, ‘কেবল পরিসংখ্যান দিয়ে তার বিচার করা যাবে না। খেলাটার স্পিরিটের জন্য সে ছিল আদর্শ। তার ক্লাব, শহর , প্রদেশ ও দেশের হয়ে সে তা দেখিয়েছে। ক্রিকেটারের পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও সে শ্রদ্ধা পাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।