নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের অক্টোবরটা যেন একটু বেশিই বৃষ্টি প্রবণ। প্রায় প্রতিদিন দুপুরে ঝর ঝর বৃষ্টি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবাধায় ৩ ওভারের পর ম্যাচ বন্ধ থেকেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। সাড়ে ৩টায় আবার শুরু হয়ে ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। বৃষ্টি থামলে মিরপুরের আকাশ মেঘলা থাকায় ৩টার দিকেই জ্বলে ওঠে ফ্লাড লাইট। আর তাতে ইনিংসের শুরুতেই তামিম একাদশকে চাপে ফেলে মাহমুদউল্লাহ একাদশ যখন এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছিল, তখনই বৃষ্টি বাগড়া। মেঘলা আকাশে এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন রুবেল হোসেন, তাকে সঙ্গত করলেন সুমন খান। তাদের তোপে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় তামিম একাদশ।
এই রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিল মাহমুদউল্লাহ একাদশও। তবে শেষ পর্যণÍ কোনো অঘটন ঘটেনি, ৫ উইকেটের জয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমান আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তোপে কোনো রান যোগ না করেই তারা হারায় দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমসহ ইমরুল কায়েসকে। পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এই ধ্বস সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে অধিনায়কও ফেরেন ১০ রান করে। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে ফেরেন মুমিনুল (৩৯)। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে দুর্দান্ত এক জয় উপহার দেন সোহান। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৪ রানে। তামিম একাদশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও তাইজুল ইসলাম। অপরটি মুস্তাফিজের।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে গতকাল দিনটিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারত দুই ‘তামিমে’র ব্যাটিং জুটি। দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিদ হোসেন তামিম। কিন্তু তামিম-তামিমের জুটিটা জমেনি। রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত এক বলে বড় তামিম এলবিডবøু হয়েছেন ২ রান করে। তামিম একাদশের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় মাত্র ৪ রানে। দেশসেরা ওপেনার তামিম ফিরে যান বৃষ্টি নামার আগেই। বৃষ্টির পর রোমাঞ্চকর কিছু শট খেলে বাজে শটে হতাশ করেন জুনিয়র তামিমও। তবে তার ২৭ রানই দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
তামিম অবশ্য ফিরেছেন রুবেলের বলে এলবিডবিøউ হয়ে। বৃষ্টি থামার পর নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তানজিদ। অন ড্রাইভ আর পুলে মেরেছেন চোখ ধাঁধানো তিন বাউন্ডারি। তবে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেছেন বেশ দৃষ্টিকটু শটে। রুবেলের বলে ফ্লিকের মতন করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে সহজ ক্যাচ দেন মিড উইকেটে।
এরপর বাকিটা সময় মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসারদের সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে তামিম একাদশকে। ২৩ ওভারেই ১০৩ রান করে অলআউট হয়ে গেছে তারা। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন সুমন। শুরু থেকেই দারুণ বল করেছেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসাররা। উইকেট না পেলেও তামিমকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করে পেসারদের ভাল দিনের আভাস দেন ইবাদত হোসেন।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়ের নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ ছিল। শুরুতে ভুগলেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুমন খানের বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ২৫ রান করে। সুমনের দারুণ লাফানো বলে ফিরে যান যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপু। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সুমনের অনেক বাইরের বল তাড়া করে দেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আর মাহাদি হাসান মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, পেরে উঠেননি। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দারুণ এক ডেলিভারিতে কাবু হন মাহাদি। সাইফুদ্দিন বোল্ড হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। টেল এন্ডাররাও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।