Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বস্তির ড্র পাকিস্তানের : সিরিজ স্বাগতিকদের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:২০ এএম

করোনাভাইরাসের মধ্যে ইংল্যান্ড সফর করছে পাকিস্তান। তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হেরে তারা। আর বাকী দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। শেষ টেস্টে পাকিস্তান বৃষ্টি আশীর্বাদ ও বাবর-আজহার আলীদের দৃঢ়তায় ড্র করতে সক্ষম হয়। আর মাঝের মানি দ্বিতীয় টেস্ট বৃষ্টিতে ভেসে যায়।

তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তান ফলোঅনে পড়ে হারের শঙ্কায় ছিল। বৃষ্টি বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দিল তাদের। ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্বকেও অবশ্য খাটো করা যাবে না। সব মিলিয়ে সাউদাম্পটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টটিতে স্বস্তির এক ড্র পেল আজহার আলির দল।

তাতেও অবশ্য সিরিজ হার এড়াতে পারেনি আনপ্রেডিক্টেবলরা। প্রথম টেস্টে জয়ের সুবাদে তিন ম্যাচ সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যাফলোঅনে দ্বিতীয়বার পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামার পর আগের দিনই কয়েকবার বৃষ্টি আর আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়েছে। তার মাঝে প্রাণপন লড়েছেন সফরকারি দলের ব্যাটসম্যানরা।

পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম দুই সেশনেও বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু শেষ সেশনে বৃষ্টি থামার পর মাঠ প্রস্তুত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডও মিরাকলের আশায় মাঠে নামে, পাকিস্তানের ফের শুরু হয় ম্যাচ বাঁচানোর পরীক্ষা।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫৮৩ রানের জবাবে ২৭৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ম্যাচে ফল বের করতে সফরকারিদের ফলোঅন করাতে ভুল করেননি ইংলিশ দলপতি জো রুট।

ফলোঅনে নেমে প্রস্তর যুগের ব্যাটিংয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার কৌশল নেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার শান মাসুদ আর আবিদ আলি ২৩.৪ ওভার কাটিয়ে দেন মাত্র ৪৯ রান তুলে। শান মাসুদ ৬৬ বলে ১৮ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন।এরপর ফের প্রতিরোধ আজহার আলি আর আবিদের। প্রায় পঞ্চাশ ওভারের মতো ব্যাটিং করে আবিদ এলবিডব্লিউ হন জেমস অ্যান্ডারসনের বলে। ১৬২ বলে তিনি করেন ৪২ রান।

পরের ব্যাটসম্যানরাও উইকেট ধরে থাকার পণ করেছিলেন। ৫৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে পাকিস্তান। পঞ্চম দিনে তাদের ত্রাতা হয়ে আসে বৃষ্টি।

প্রথম দুই সেশন বৃষ্টির কারণে খেলা না হলেও শেষ সেশনে ইংলিশ বোলাররা চেপে ধরতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানকে। অ্যান্ডারসন টেস্টে ৬০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেন আজহার আলিকে প্রথম স্লিপে রুটের ক্যাচ বানিয়ে। ১১৪ বল মোকাবেলায় পাকিস্তান অধিনায়ক করেন ৩১ রান।

এরপর দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদেই পড়তো পাকিস্তান। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। পাঁচ নম্বরে নেমে আসাদ শফিক ২১ করে ফিরলেও খেলে আসেন ৫৯ বল।

এর মধ্যে বাবর আজম ঠিকই দাঁড়িয়ে যান। ৯২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করা এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ফাওয়াদ আলমও রানের খাতা না খুলতেই ৯ বল খেলে ফেললে ইংলিশরা বুঝে যায়, এই উইকেটে ফল বের করা যাবে না। আম্পায়ার দিনের খেলা এক ঘন্টা বাকি আছে জানাতেই ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ