Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিটনেস ধরে রাখতে লড়াই মৌসুমী’র

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ৭:৪৩ পিএম

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় সাড়ে ৪ মাস ধরে বাংলাদেশের সব খেলাধুলা বন্ধ। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময় থেকেই ঘরবন্দী লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদরা। তবে আশার কথা করোনাকাল না কাটলেও ধীরে ধীরে সরব হওয়ার চেষ্টায় আছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। গত সপ্তাহে দেশের পাঁচটি ভেন্যুতে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি পেয়ে তা শুরুও করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় ফুটবলাঙ্গনেও স্বাভাবিক কর্মকাÐ শুরু হচ্ছে ক’দিন বাদেই। কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের বাকি চার ম্যাচকে সামনে রেখে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে জাতীয় ফুটবল দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। তবে করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা নারী ফুটবল লিগ ফের মাঠে গড়ানো নিয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে মাঠের খেলা বন্ধ থাকায় একেবারে অলস সময় কাটাচ্ছেন না দেশের নারী ফুটবলাররা। বাফুফের নির্দেশে যে যার অবস্থানে থেকে নিজেকে ফিট রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে সচেষ্ট জাতীয় নারী দলের তারকা ফুটবলার ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমীও। নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন যে কোনো সময় মাঠে নামার জন্য। মৌসুমী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস ধরে রাখতে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে যায় মেয়েদের লিগ। এরপরই মৌসুমী-মারিয়া মান্ডারা চলে যান নিজেদের বাড়িতে। তবে বাড়িতে থাকলেও সবসময়ই তারা আছেন জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও তার স্টাফদের নির্দেশনার মধ্যেই।

বাফুফের মাধ্যমে বুধবার পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় মৌসুমী জানান তিনি ভালো আছেন। ঘরে বসে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হলেও তিনি লড়াই করছেন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস ধরে রাখতে। ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন,‘এখনও ভালো আছি, সুস্থ আছি এবং আমার পরিবারও ভাল। বাড়িতেই পুরো সময় কাটে। খাই, ঘুমাই ও স্ট্রেচিং করি। খুব একটা বেশি বাইরে যাই না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি।’ মৌসুমী আরো বলেন,‘বাড়িতে ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব কঠিন, কারণ এখানে ব্যায়াম করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কোনো জিম সরঞ্জামও নেই। তবে আমাদের কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী ডায়নামিক স্ট্রেচিং, কোর এক্সারসাইজগুলি করে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি। কখনও কখনও জিমে গিয়ে ট্রেডমিলে দৌড়াই বা সাইক্লিং করি।’

করোনাকালের শুরু থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে শিষ্যদের ফিটনেস নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কোচ ছোটন। সেটা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বসুন্ধরা কিংসের মিডফিল্ডার মৌসুমী। তার কথায়,‘বাংলাদেশের মহিলা দলের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপ আছে। আমরা সব খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ, হেড কোচ ছোটন স্যার, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু স্যার, দুই মহিলা কোচ অনন্যা ম্যাডাম এবং সাইনু দিদি - এই গ্রæপের সদস্য। বাফুফে কর্মকর্তারাও সেখানে আছেন। আমরা সেখানে সপ্তাহে দুই-তিনবার সবার সঙ্গে আলোচনা করি। পাশাপাশি প্রতিদিনের কাজগুলো রিপোর্ট করি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ