নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাটিং করাটাই যার ধ্যান-জ্ঞান সেই স্টিভেন স্মিথ কিনা টানা দুমাস বলতে গেলে ব্যাট স্পর্শই করেননি! গতকাল অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ক্রিকেট দল নিউ সাউথ ওয়েলসের অনুশীলনে এসে অবিশ্বাস্য এই গল্প শোনালেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। জাতীয় দল সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল স্টার্ককে নিয়েই কাল সিডনি অলিম্পিক পার্কে প্রাক মৌসুম অনুশীলন শুরু করেছেন স্মিথ। করোনার কারণে ঘরবন্দী জীবন কাটানোর পর স্মিথরা আজই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করলেন।
স্মিথ সেখানেই শোনালেন অবিশ্বাস্য সেই গল্প, ‘সত্যি বলছি, আমি ব্যাট ছুঁইনি। বাড়িতে শুধু কিছু ছোটখাট অনুশীলন করেছি। আমি একটু (ক্রিকেট থেকে) দূরে থাকতে চেয়েছি। এমনটা তো বেশি করা হয় না। আমার সব মনোযোগ ছিল নিজেকে কীভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙা রাখা যায় তার ওপর।’
স্মিথ ব্যাট একেবারে ছোঁননি সেটা বলা অবশ্য ভুল। অনলাইনে ভক্তদের ব্যাটিং ক্লাস নিতে গিয়ে দু-একবার ধরেছেন ব্যাট। তবে স্মিথ জানালেন এ ছাড়া ব্যাটের দিকে হাত বাড়াননি তিনি, ‘বাড়ি থেকে কিছু ক্লাস করিয়েছি (ভক্তদের জন্য)। এ ছাড়া সত্যিই আমি ক্রিকেট ব্যাট ধরেনি। একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা তবে আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য ভালোই হয়েছে। বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ মিলিয়ে লম্বা একটা বছর কাটানোর পর সতেজ হওয়া দরকার ছিল।’ এতটা লম্বা সময় স্মিথের অনুশীলন না করাটাকে বিস্ময়কর বললেও কম বলা হবে। অস্ট্রেলিয়া দলের বর্তমান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার তো গত বছর বলেই দিয়েছেন ‘গোসল করতে গিয়েও ছায়া ব্যাটিং করেন স্মিথ’। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানিয়েছিলেন পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন সেই ভোরে উঠেই হোটেল রুমে বসে ব্যাট-বল নিয়ে ঠুকঠুক শুরু করে দেন স্মিথ।
কোয়ারেন্টিনের সময়ে ব্যাটিং অনুশীলন না করলেও শারীরিক পরিশ্রম ভালোই করেছেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এই সময়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ৩০ বছর বয়সী স্মিথ জানালেন শারীরিকভাবে এখন চমৎকার অবস্থায় আছেন তিনি, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে আমি সম্ভবত এখনই শারীরিকভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। বাড়িতে প্রচুর দৌড়েছি, জিমে কাটিয়েছি অনেক সময়। মাসদুয়েকের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।’
আইসিসির পরবর্তী বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জুন। সেদিন নির্ধারিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত আসরটি স্থগিত হয়ে গেলে সেই সময় আইপিএল আয়োজন করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। স্মিথ অবশ্য এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে রাজি নন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সম্পর্কে সত্যিই কিছু ভাবিনি। আমার মনে হয়, বিশেষজ্ঞদের এবং সরকারগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আমাদের যা বলা হবে, সেটাই করব।’ যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার কথাও বলেন এই ৩০ বছর বয়সী তারকা, ‘যদি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়, তবে দুর্দান্ত হবে। আর যদি না হয়, তাহলে... বিশ্বে এখন এমন একটা সময় চলছে, যখন ক্রিকেট নিয়ে ভাবা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। তাই আমাদের যখন ডাকা হবে, তখনই আমরা মাঠে ফিরব।’
গেল নভেম্বরে আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া স্মিথ যোগ করেন, ‘আমি মনে করি, আপনি যখন কোনো বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে খেলেন, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটাই আপনার জন্য সর্বোচ্চ সাফল্য। তাই অবশ্যই আমি (বিশ্বকাপে) খেলতে পছন্দ করব। তবে যদি বিশ্বকাপ না আয়োজিত হয়, তবে আইপিএল রয়েছে। যদি বিশ্বকাপ স্থগিত করা হয়, তবে তাই হোক। (ফাঁকা সময়টাতে) ঘরোয়া প্রতিযোগিতা হিসেবে আইপিএল দুর্দান্ত।’
করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য ঘাতক পৃথিবীটাকে থমকে না দিলে এ মাসেই বাংলাদেশে আসার কথার ছিল স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার। এখন স্মিথের দল পাখির চোখ করেছে আগস্টের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজকে। তবে সবকিছুই এখন নির্ভার করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।