মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল তার বাবা-মা। কিন্তু তারাই যদি ঘাতক হয়ে উঠেন তাহলে সন্তান যাবে কোথায়! ইরানে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার বাবা। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে পুরো ইরানজুড়ে।
রমিনা আশরাফি নামে ওই মেয়েটির বাড়ি তেহরান থেকে প্রায় ৩২১ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের কাউন্টি তালেশের শহরে। রমিনা ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে ভালোবাসতো। কিন্তু পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিতে সম্মত না হওয়ায় মে মাসের মাঝামাঝিতে সে যুবকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। ইরানের আইন অনুযায়ী ১৩ বয়সে মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে পুলিশ মেয়েটিকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়। যদিও রমিনা বারবার তাকে বাড়ি না পাঠানোর আকুতি জানায়। পাঠালে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। কিন্তু তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি পুলিশ। ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে জানিয়েই বাবা রেজা আশরাফি তাকে গ্রহণ করে।
কিন্তু ২১ মে রমিনা যখন তার কক্ষে ঘুমচ্ছিল, বাবা একটি কাস্তে নিয়ে ঢুকে আঘাত করে তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ঘটনায় ঘাতক বাবা অপরাধ স্বীকার করেছে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পরিবারের সম্মান রক্ষার যুক্তিতে ‘অনার কিলিং’ নামক এমন নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছে ইরানের মানুষ। ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
ইরানের আইন বিষয়ক উপমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাসি বলেন, ‘যথাযথ বিচারের আওতায় আমরা এ হত্যাকারীকে কঠিন সাজা দেব। এটিই শেষ নয়, রমিনার মতো আর কাউকে যাতে এভাবে জীবন দিতে না হয় আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।