নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেট বিশ্বকে থমকে দিয়েছিল সে ঘটনা। ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় হানসি ক্রনিয়ের নাম বেড়িয়ে আসে। তখনই প্রথম জানা যায় জুয়াড়ি সঞ্জীব চাওলার কথা। এই জুয়াড়িই ক্রনিয়েকে অসাধু পথে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। ম্যাচ পাতানোর কালো জগতে পা রাখা ক্রনিয়ে আর ফিরতে পারেননি। আর ক্রনিয়েকে সে পথে টানা চাওলাকে ২০ বছর পর দিল্লির পুলিশ অবশেষে হাতে পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নেওয়ায় এত দিন চাওলাকে ফেরাতে পারেনি ভারত। ২০১৬ সালে ভারতের অনুরোধে তাঁকে লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হলেও ভারতে আনতে তাঁকে আরও বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। এত দিন পর ভারতে পা রেখেই বোমা ফাটিয়েছেন চাওলা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ভাষ্য অনুযায়ী দিল্লি পুলিশের কাছে নাকি চাওলা বলেছেন, ‘কোনো ক্রিকেট ম্যাচই সৎভাবে খেলা হয় না এবং সব ক্রিকেট ম্যাচই পাতানো হবে এটা নিশ্চিত করার লোক থাকে।’
চাওলা আরও বলেছেন, ‘অন্ধকার জগতের অনেক বড় সিন্ডিকেট/মাফিয়ারা’ সব ক্রিকেট খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিকেট ম্যাচগুলো নাকি, ‘সব চলচ্চিত্র, যা কারও না কারও দ্বারা পরিচালিত হয়।’ চাওলা এটাও বলেছেন, ম্যাচ পাতানো নিয়ে মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তার জীবন শঙ্কার মুখে। চাওলা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করলেও বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। কারণ, ‘অন্ধকার জগতের বিশাল এক সিন্ডিকেট এ ব্যাপারের সঙ্গে জড়িত এবং তারা সবাই ভয়ংকর লোক। এর বেশি কিছু বললে তাকে মেরে ফেলবে তারা।’
এ ব্যাপারে নিয়োজিত কর্মকর্তা প্রবীণ রঞ্জন জানান, ‘যেহেতু এটা তদন্তাধীন বিষয়, আমরা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছি না।’
চাওলার বিবৃতিতে নাকি কীভাবে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না দেওয়াতে দিল্লি পুলিশ এই 'অসহযোগিতাকে' তার অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে দাবি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।