নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত, ঠিক তখনই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে ঘটলো এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। করোনাকালেই খুন হলেন জাতীয় দলের সাবেক কাবাডি খেলোয়াড় কাইয়ুম সিকদার! ঈদের দ্বিতীয়দিন রাতে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে তাকে। জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক খেলোয়াড়, ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে রৌপ্যজয়ী এবং ১৯৯৮ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ও নিজ এলকার জনপ্রতিনিধি কাইয়ুম ২৬ মে রাত ৯টায় নড়াইলের নড়াগাতি থানার কালিনগর এলাকায় খুন হন। জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। কাইয়ুম কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তিনি বিলাফর গ্রামের হাসু সিকদারের পুত্র।
১৯৯৫ মাদ্রাজ এসএ গেমসে জাতীয় দলে অভিষেক হয় কাইয়ুমের। জাতীয় দলের হয়ে খেলেন ১৯৯৯ এসএ গেমস ও ১৯৯৮ এশিয়ান গেমসও। এরপর ২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমস ও ২০১০ মাস্কট বিচ গেমসে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন কাইয়ুম। তার ছোট ভাই মামুনও জাতীয় কাবাডি দলের খেলোয়াড়।
কাইয়ুম সিকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। তারা সাবেক এই কাবাডি খেলোয়াড়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।