নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে কোনো ধরনের চাপ দেবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ মাঠে না গড়ালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজন করার বিষয়টি আমলে নেবে সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে নিজেদের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধামাল।
আগামী ১৮ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সূচি রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণে প্রতিযোগিতাটি নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে না কি-না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। তবে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সবুজ সংকেত দেওয়ার আগে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে চায়।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের কারণেই স্থগিত হয়ে গেছে জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএল। এবারের আসরটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল গেল ২৯ মার্চ। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় প্রথম দফায় তা স্থগিত করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবসাসফল প্রতিযোগিতাটি। তবে শেষ পর্যন্ত চলতি বছর আইপিএল অনুষ্ঠিত না হলে, বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই। এবারের আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের প্রায় ৫৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গত ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আসরটি। দুই দফায় সেটি পিছিয়ে গেছে করোনারভাইরাসের প্রভাবে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত মিলেছে, বিসিসিআই হয়তো আইপিএল আয়োজনের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টার করতে পারে। আইসিসিতে ও বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় বোর্ডের যা প্রভাব, তারা জোর করে কিছু চাইলে সেটির বাস্তবায়ন খুবই সম্ভব। গেল কয়েকদিন ধরেই অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আইপিএল আয়োজন করার পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে, যা বিশ্বকাপের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর সূত্র ধরে অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি বোর্ড সভায় প্রভাবশালী ভারতীয় বোর্ড বিশ্বকাপ পেছানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে। তবে বিসিসিআই কর্মকর্তা অরুণ উড়িয়ে দিয়েছেন এমন অভিযোগ, ‘বিসিসিআই কেন বিশ্বকাপ স্থগিত করার জন্য চাপ দেবে? আমরা সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করব। এরপর যেটা সঠিক মনে হবে, (আইসিসি) সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে (বিশ্বকাপ আয়োজন বা স্থগিত করার)। যদি অস্ট্রেলিয়ার সরকার ঘোষণা করে যে, প্রতিযোগিতাটি হবে এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড যদি আত্মবিশ্বাসী থাকে যে, তারা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে, তবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত। বিসিসিআই কোনোকিছুর সুপারিশ করবে না।’
তিনি যোগ করেছেন, বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে আইপিএল নিয়ে ভাববে না ভারতীয় বোর্ড, ‘যদি সময়টা (অক্টোবর-নভেম্বর) ফাঁকা থাকে এবং কী কী আয়োজন করা যায় তার উপর নির্ভর করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব (আইপিএল আয়োজনের)। বিশ্বকাপ হচ্ছে না ধরে নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলার কোনো অর্থ নেই।’
টুর্নামেন্ট সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়ালেও হয়তো দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হতে হবে। বিশ্বকাপের মতো জনপ্রিয় ও এত বড় মাপের কোনো প্রতিযোগিতা শূন্য গ্যালারিতে আয়োজন করা ঠিক হবে কিনা, সেটি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের হাতে ছেড়ে দিলেন ধামাল, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর-এতগুলো দলকে তাদের দেশে এসে খেলার অনুমতি দিবে কিনা, সেটাও তাদের ব্যাপার। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা কি যৌক্তিক হবে? এভাবে এমন একটি টুর্নামেন্ট ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আয়োজন করা কি উচিত হবে? সিদ্ধান্তটা তাদের।’
বিশ্বকাপ না হলেও এই অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে দেশটিতে ক্রিকেট হওয়ার সম্ভাবনা আছে প্রবলভাবেই। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের অস্ট্রেলিয়ায় সফরে যাওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস। তবে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর ১৬ দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কার্যত এ কারণেই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস অবশ্য গতকাল জানান, নির্ধারিত সময়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা, ‘এখনই এ বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। তবে পরিস্থিতির যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, তাতে কে জানে, সম্ভব হতেও পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য আইসিসির।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।