নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাকিব-মুশফিকদের ব্যাট ফেরত আনতে চায় বিসিবি
সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে ২০২০ সাল হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের ব্যস্ততম বছর। এই বছরেই ছিল নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার স‚চি। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির প্রকোপে সবই গেছে ভেস্তে। কবে আবার খেলা শুরু হবে তা নিয়ে কোন ধারণাই করতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তার মতে জমে থাকা সিরিজগুলো ফের আয়োজনের সময় বের করতে কঠিন সমস্যায় পড়তে হবে তাদের।
গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সংকটে থাকা ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সহায়তা চেক প্রদান করতে গিয়েছিলেন বোর্ড প্রধান। সেখানে অবধারিতভাবেই ক্রিকেট মাঠে ফেরা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে তাকে। বিসিবি সভাপতি অবশ্য নিজের জবাবে শুনাতে পারেননি কোন আশাবাদী কথা, তিনি জানান খেলা কবে শুরু হবে তা ধারণা করা দ‚রে থাক, এটা নিয়ে কোন আলোচনারই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, ‘না কোন আলোচনা হয়নি। আলোচনা হবে কীভাবে। আমি তো কোন তারিখ দিতে পারব না যে জুলাইতে খেলব, অগাস্টে খেলব । কিছুই ত জানি না। কাজেই এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।’
করোনার প্রকোপের পর বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর, আয়ারল্যান্ড সফর ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ স্থগিত হয়েছে। সামনে থাকা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলোর ভবিষ্যতও অন্ধকার। বোর্ড প্রধান বলেন, যেখানে বিশ্বকাপ নিয়েই শঙ্কা, সেখানে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের কথা ভাবা মুশকিল, ‘ বিশ্বকাপ যেটা ছিল সেটাই পেছানোর কথা বলছে। এখানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কী হবে এটা বলা অত্যন্ত কঠিন। মানে বলতে চাই আইসিসি ইভেন্টগুলো কবে হবে আমরা তা জানি না। জানতে পারলে ওই অনুযায়ী আবার রিশিডিউল করতে পারতাম।’
গত সোমবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভা ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেন, আগামী জুলাই-অগাস্টে ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটো সিরিজই সময়মতো আয়োজন করতে চান তারা। সেজন্য নেওয়া আছে সব প্রস্তুতি। কিন্তু বোর্ড সভাপতি নাজমুল জানান, শ্রীলঙ্কার চাওয়ার উপরই সব নির্ভর করছে না। তিনি ইঙ্গিত দেন বিরূপ বাস্তবতার দিকে, ‘দেখুন, তারা (শ্রীলঙ্কা) আয়োজন করতে চাইলেই তো হলো না। আমরা পাঠাতে (দল) পারব কি-না, আমাদের খেলোয়াড়দের পাঠানো ঠিক হবে কি-না এই মুহূর্তে, কোথায় থাকবে, কী করবে- এগুলো সহজ সিদ্ধান্ত না।’
স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজগুলো কি আবার পুনর্বিন্যাস করা যাবে নাকি একেবারেই বাতিল হয়ে যাবে, তা নিয়ে আছে অস্পষ্টতা। নাজমুল জানান ‘বিরাট ঝামেলা’ পেরিয়ে তারা চেষ্টা করবেন যতবেশি খেলা ধরে রাখা যায়, ‘এটা বিরাট ঝামেলা সামনে আছে। তবে এটা সবার জন্য তো একই। আমরা চেষ্টা করব বেশিরভাগ খেলা যা ছিল তা রাখতে পারি কিনা।’
করোনার সময় দুস্থদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে ক্রিকেটাররা নিজেদের ক্রিকেটীয় স্মারক নিলামে বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, আকবর আলী বিভিন্ন অনলাইন মঞ্চে নিলামের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবহার করা ব্যাট-গ্লাভস ইত্যাদি বিক্রি করেছেন। মাশরাফি বিন বিন মুর্তজা বিক্রি করলেন তার প্রিয় ব্রেসলেট।
ক্রিকেটারদের নিলামে অংশ না নিলেও সাকিব-মুশফিকের ইতিহাস গড়া ব্যাট ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে বিসিবির। নাজমুল তার উদ্যোগের কথা জানান, ‘আমি উদ্যোগ নেব তো অবশ্যই। সবসময়ই ইচ্ছে ছিল। এখন এখানে তো আমরা নিলামে অংশ পারি না। পরে আমরা চেষ্টা করব কীভাবে রাখা যায়। যদি সুযোগ থাকে, সেগুলোকে আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।