নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দলের বিপদে বাইশ গজে কখনো একাই লড়তে হয় তামিম ইকবালকে। বিপদের মুহ‚র্তে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান নিরাপদ জায়গায়। একাই একশ’ হয়ে দেশের বিপদেও সেভাবেই এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের দুঃসময়ে অসহায় হয়ে পড়া খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাঁ হাতি ওপেনার। সেই খেলোয়াড়রা শুধু ক্রিকেটেরই নন; ফুটবলার, হকি খেলায়াড়, সাঁতারু, ভারোত্তোলক, জিমন্যাস্ট, কারা নেই দেশসেরা ব্যাটসম্যানের তালিকায়? খুঁজে খুঁজে গত ৩ থেকে ৪ দিনে দেশের ৯১ জন অসহায়-অসচ্ছল খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা করেছেন তামিম। বিকাশের মাধ্যমে যাঁর যেমন প্রয়োজন, পাঠিয়ে দিয়েছেন টাকা।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই দুস্থদের জন্য তামিম কিছু না কিছু করছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার পরামর্শে জাতীয় ক্রিকেটারদের বেতন থেকে তহবিল গড়ার সমন্বয় করেছিলেন তামিম। ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) তহবিল সংগ্রহের কমিটিতও আছেন তিনি। সতীর্থ ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপু যখন নারায়ণগঞ্জে দুস্থদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, সেখানেও এগিয়ে আসেন তামিম। শুধু ক্রিকেটারই নন, জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী সামিউল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। মোহাম্মদপুরের স্বেচ্ছাসেবী নাফিসা আনজুম অসহায় মানুষের ফোন পেলেই খাবার ও সাহায্য নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন মানুষের দরজায়। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর পড়ে তামিম এগিয়ে যান নাফিসার সাহায্যেও।
কিন্তু তামিম ভাবলেন, শুধু অন্যদের উদ্যোগে শামিল হওয়াই যথেষ্ট নয় এই দুঃসময়ে। তার নিজেরও বড় কিছু করা উচিত। পরিচিত খেলোয়াড়, কোচ, সাংবাদিক ও ক্রীড়াঙ্গনে থাকা বন্ধু এবং পরিচিতজনদের কাছে খোঁজ নিতে থাকেন কাদের সাহায্য প্রয়োজন। করোনা আক্রান্ত সময়টায় কাদের দিন কষ্টে কাটছে। সেভাবেই নাম সংগ্রহ করেন সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন খেলার ৯১ জন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়ের। তাঁকে এ কাজে সহযোগিতা করেন এসএ গেমসে সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন, জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ, ক্রিকেটার মিজানুর রহমান, কোচ হুমায়ুন কবির শাহীনসহ অনেকে। শাহিন জানান, সহায়তা পেয়েছেন চরম সংকটে থাকা ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, হকিসহ সব ধরনের খেলার ক্রীড়াবিদরা, ‘সব খেলা মিলিয়ে মোট ৯১ জনের তালিকা করেছিলাম আমরা। তামিম সবাইকে আর্থিক সহায়তা করেছে, যাতে করে তারা পরিবার নিয়ে কয়েকদিন নির্বিঘেœ চলতে পারে।’
এই তালিকা তৈরিতে অন্যান্য খেলোয়াড়রাও কাজ করেছেন বলে জানান তিনি, ‘সিলেট থেকে যেমন রাজিন (সালেহ) ভাই, এনামুল (হক জুনিয়র) এরা কয়েকজনের নাম দিয়েছে, রাজশাহী থেকে মিজানুর (ক্রিকেটার মিজানুর রহমান) কয়েকজনের তালিকা করেছে, বরিশাল থেকে কামরুল ইসলাম রাব্বি কিছু নাম পাঠিয়েছে। এছাড়া (সাঁতারু) মাহফুজা খাতুন শিলা তাদের খেলায় সংকটে থাকা কয়েকজনের কথা জানিয়েছে। এভাবে সমন্বয় করা হয়েছে।’
স¤প্রতি ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান কাজটি করতে চেয়েছিলেন অগচোরেই। তবে যারা সাহায্য পেয়েছেন তাদের অনেকেই চেয়েছেন তামিমের এই মহত্বের কথা অন্যরা জানুক। যাতে করে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।